সিএজি রিপোর্ট সঠিক নয়, জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব
নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি খরচ হিসাব পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সিএজি’র (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া) মাথায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘পোষ্যপুত্র’ হিসাবে পরিচিত গিরিশ চন্দ্র মুর্মু। আর তার দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তা শুক্রবার সরাসরি খারিজ করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ‘ওই সিএজি রিপোর্ট রাজ্য সরকার মানতে পারছে না। কারণ, এটা ঠিক রিপোর্ট নয়। সমস্ত দফতরের সেক্রেটারি ইউসি নিয়ে বসে আছেন।’
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অনুদানের এক লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচের শংসাপত্র (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) জমা দিতে পারেনি। ওই রিপোর্টকে বেদবাক্য ধরে নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধতে আসরে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। আর পদ্ম শিবিরের দোসর হিসাবে দাঁড়িয়ে সিপিএম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল সরকার এই টাকা নয়ছয় করেছে। সিএজি’র রিপোর্টের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, ’২০ বছরের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে সিএজি। তার মধ্যে ২০০২-০৩ সাল থেকে ২০১০-১১ সালের বাম জমানার হিসাব রয়েছে। বাম জমানার হিসাব কেন বর্তমান সরকারের কাছে চাওয়া হচ্ছে?’
এদিন রাজ্যের অর্থ সচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘২০ বছর ধরে যদি ইউসি না দেওয়া হয় তা হলে সিএজি থেকে আমাদের এজি এবং যাঁরা যাঁরা অডিট করেন, তাঁদের বলতে পারতেন যে এ বছর ইউসি পেন্ডিং আছে। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আমরা আলোচনা করব। গত দু’বছরে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ৩৩৪টি দল এসেছে। সেই দল যা যা তথ্য চেয়েছে, সমস্তই জমা করা হয়েছে। কোনও কিছুই ‘পেন্ডিং’ নেই।’