For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মোদি বলেছিলেন ‘চাই ৪২’, শাহ বললেন, না! ‘চাই ২৫’

মোদি ও শাহ, দুইজনের কারোরই স্পষ্ট ধারনা নেই যে ২৪’র ভোটে বাংলা থেকে ঠিক কটা আসন জুটবে। আর তাতেই একজনের দাবি ৪২ তো অপরজনের দাবি ২৫।
09:49 AM Mar 08, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মোদি বলেছিলেন ‘চাই ৪২’  শাহ বললেন  না  ‘চাই ২৫’
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুইজনের মুখে দুইরকমের কথা। আর তাতেই কার্যত সাফ তাঁদের নিজেদেরও অজানা বাংলা(Bengal) থেকে ঠিক কতজন পদ্মপ্রার্থী জনতার ছাড়পত্র পেয়ে সাংসদ হিসাবে দিল্লি যাবেন। আর এই গোলকধাঁধায় পড়ে এখন সব থেকে বেশি অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বাংলার পদ্মশিবিরের নেতারা। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষিত না হলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) বাংলার বুকে ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ৩টি জনসভা সেরেও ফেলেছেন। সেই সভা থেকেই তিনি ডাক দিয়েছেন বাংলার জনতাকে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই পদ্ম ফোটাতে। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই আসন সংখ্যার পতন ঘটে গেল। কেননা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) জানিয়েছেন, বাংলা থেকে চাই ২৫টি আসন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা কার কথা শুনে চলবেন? মোদি না শাহের? নাকি ভোটের মুখে দুইজনের ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে! ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা আসলে দুইজনের কারোরই স্পষ্ট ধারনা নেই যে ২৪’র ভোটে বাংলা থেকে ঠিক কটা আসন জুটবে। কেননা যে ৪টি ভোট ব্যাঙ্কের হাত ধরে উনিশের ভোটে বাংলার মাটিতে বিজেপির উত্থান ঘটেছিল, সেই ৪টি ভোট ব্যাঙ্কই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। 

Advertisement

রাজনৈতিক সমীক্ষকদের দাবি, দেশের ৩টি রাজ্য বাংলা, বিহার ও মহারাষ্ট্র নিয়ে পদ্মশিবির সব থেকে বেশি নার্ভাস অবস্থায় রয়েছে। কেননা দলের সমীক্ষাই সেখানে বলে দিচ্ছে, ৩ রাজ্যেই আসন কমতে চলেছে। একই সঙ্গে আসন কমতে চলেছে কর্ণাটকে ও উত্তরপ্রদেশেও। সংশয় থাকছে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়েও। আর এই হিসেব-নিকেশে সবচেয়ে বেশি দিশাহারা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের দুই কর্তা। বিশেষত বাংলা নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) রাজ্যে অবশ্য বিভ্রান্তির বহরটা মাত্রা ছাড়িয়েছে। সৌজন্যে, বঙ্গ বিজেপির টানাপোড়েন। তার জেরে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের আসন-পূর্বাভাসে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে। মজার কথা অমিত শাহ এক বছর আগে সিউড়ির সভা থেকে দাবি করেছিলেন ৩৫টা আসন চাই। এখন তিনিই বলছেন ২৫টা আসন চাই। বাস্তবে ৫টা আসনও বিজেপি(BJP) বাংলা থেকে পাবে কিনা সন্দেহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো খুল্লামখুল্লা বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দিয়েছেন, ‘পারলে ৫টা আসন বার করে দেখাও।’ গেরুয়া কর্তাদের এই ব্যাকফুটে যাওয়ার ঘটনায় অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তো সাফ জানিয়েছেন, ‘আমরা খেলা শুরু করার আগেই বিজেপি বুঝে গিয়েছে, ওদের খেলা শেষ। তাই হয়তো এই বোধোদয়।’  

Advertisement

আসলে মোদি না বুঝলেও, বা বুঝতে না চাইলেও, সাংগঠনিক নেতা হিসাবে শাহ বেশ বুঝেছেন বাংলায় বিজেপি বিমুখ হয়ে গিয়েছেন, আদিবাসীরা। বিমুখ হয়েছেন রাজবংশী ও মতুয়ারা। বিমুখ হয়েছেন তপশিলীরাও। এই ৪ ভোট ব্যাঙ্কের হাত ধরেই বিজেপি উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলার মাটি থেকে ১৮টি আসন জিতেছিল। এখন ২৪’র ভোটে(General Election 2024) কটা আসন পাবে পদ্মশিবির তা স্বয়ং মোদি আর শাহ কেউই জানেন না। বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছে, দলের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এবারে বাংলার মাটিতে বিজেপি মাত্র ১২টি আসনে লড়াই করার মতো জায়গায় আছে। এই ১২টি আসন হল – কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট, পুরুলিয়া, রানাঘাট, বনগাঁ, আরামবাগ, কাঁথি, তমলুক, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর। এর বাইরে অপর কোনও আসনে কার্যত জয় আসবে না এমনটাই ধরে নিয়েছে বিজেপি শিবির। আর এই কারণেই শাহ ২৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। কেননা ২৫ ধরালে তবেই ১২টা আসবে। যদিও সেখানেও থাকছে ঘোর সংশয়।   

Advertisement
Tags :
Advertisement