অবশেষে মোদির শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পেলেন খাড়গে
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ রবিবার সন্ধ্যায় তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ওই শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র বিলি নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতির অভিযোগ উঠল রাষ্ট্রপতি ভবনের বিরুদ্ধে। মোদির শপথে বাংলাদেশ-সহ গুরুত্বহীন দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের জামাই আদরে ডেকে আনা হলেও উপেক্ষা করা হয়েছে বিরোধী শিবিরের নেতাদের। শপথগ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে। যদিও আমন্ত্রণ পেলেও রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। আজ রবিবার সকালে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেই শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেস সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র বিলি নিয়ে রীতিমতো ‘আমরা-ওরা’র নীতি গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় ও রাষ্ট্রপতি ভবনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। রবিবার শপথ হলেও ২৪ ঘন্টা আগেও দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলির সভাপতিদের এবং অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছয়নি। শনিবারই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে দলের কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়ে দেন, ‘নতুন সরকারের শপতগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য কোনও আমন্ত্রণপত্র পায়নি কংগ্রেস। ফলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের তরফে কেউ যাচ্ছেন না।’
কলকাতায় দলের পর্যালোচনা বৈঠক শেষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, ‘তিনি শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পাননি। পেলেও দলের তরফে কেউ রাষ্ট্রপতি ভবন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন না।’ নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধীদের আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। রাষ্ট্রপতি ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের ভূমিকা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। আর তার পরেই ‘কুম্ভকর্ণের ঘুম’ ভেঙে জেগে ওঠে রাষ্ট্রপতি ভবনের আধিকারিকরা। রাত এগারোটা নাগাদ আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে।