OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

বঙ্গে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিচ্ছে কংগ্রেস, এখনও আশা আসন সমঝোতার

এখন মমতার যা মুড তাতে কংগ্রেসের এই অপেক্ষা শেষ পর্যন্ত লাভজনক কিছু পরিস্থিতি তৈরি করে দেয় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।
09:55 AM Feb 18, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

কৌশিক দে সরকার: বাংলার মালকিন জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দল ২৪’র ভোটে(General Election 2024) একাই লড়বে। রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই তাঁর দল প্রার্থী দেবে। সেক্ষেত্রে উনিশের ভোটে কংগ্রেসের(INC) ২টি আসনেও প্রার্থী দেবে জোড়াফুল। আর যদি তা হয় তাহলে নিশ্চিত দুটি আসনও হাতছাড়া হয়ে যাবে। অগ্যতা ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে বাধ্য হল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বাংলায়(Bengal) বামেরা যতই ২৪’র ভোটের লক্ষ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে লম্ফঝম্ফ করুক না কেন, বাস্তবতা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগল না কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের। যা পরিস্থিতি তাতে ভোট ঘোষণা পর্যন্ত জোড়াফুলের সঙ্গে বাংলায় আসন রফার জন্য অপেক্ষায় থাকছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কেননা বাংলার মালকিনের সমর্থন না মিললে, জেতা আসনও হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মাটি থেকে কংগ্রেস ২টি আসনে জয়ের মুখ দেখেছিল। একটি বহরমপুর, অপরটি দক্ষিণ মালদা। এবারে যখন দেশে বিজেপি বিরোধী INDIA জোট গড়ে উঠেছিল, তখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বাংলার মাটিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দ্রুত আসন সমঝোতার দিকে জোর দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন যে ২টি আসনে কংগ্রেস উনিশের ভোটে জিতেছিল, সেই দুই আসন তিনি কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবেন। কিন্তু মাত্র ২টি আসনে লড়াই করার নীতি পছন্দ ছিল না প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের। তাঁদের দাবি, দিতে হবে ১০ থেকে ১২ আসন। সেই প্রেক্ষাপটে মমতাও একা চলার নীতি নেন। কেননা একুশের ভোটে বাংলার বিধানসভা থেকে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস ও বাম দুই শক্তিই। যে দল দুটি রাজ্য বিধানসভায় নিজেদের একজন প্রার্থীকেও জেতাতে পারে না, তাঁরা যদি মুখে বড় বড় দাবি করে সেই দাবি কে মানবে! মমতাও কর্ণপাত করেননি। তৃণমূলের(TMC) তরফে এখন রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই প্রার্থী দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

কার্যত শুধু তৃণমূল নয়, INDIA জোটের মধ্যে থেকেও সমাজবাদী পার্টি, আপ, শিবসেনা(উদ্ধব)-ও নিজ নিজ রাজ্যে একক ভাবেই বিজেপির মোকাবিলা করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এর জেরে বাংলা সহ মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবে যে কংগ্রেস ধাক্কা খেতে চলেছে সেটা দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছে সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধির দল। তাই কিছুটা হলেও ব্রেক দিয়েছেন তাঁরা। তাড়াহুড়ো নয়। ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে এগোতে চাইছেন তাঁরা। বাংলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যতদিন না মমতা বাংলার ৪২টি আসনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করে দিচ্ছে ততদিন কংগ্রেস অপেক্ষা করবে মমতার জন্য। আসন সমঝোতার জন্য। আর যদি সেই সমঝোতা হয় তাহলে মমতা নিবেদন পক্ষে যেন ৬টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়েন। এর মধ্যে উনিশের ভোটে জেতা ২টি আসনও থাকবে। এর বাইরে রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, বসিরহাট ও পুরুলিয়া কেন্দ্রের দিকে কংগ্রেসের নজর থাকছে। অন্তত সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এখন মমতার যা মুড তাতে কংগ্রেসের এই অপেক্ষা শেষ পর্যন্ত লাভজনক কিছু পরিস্থিতি তৈরি করে দেয় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।

Tags :
bengalGeneral Election 2024INCindiaMamata BanerjeeTmc
Next Article