‘আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে ষড়যন্ত্র, কমিশন অদ্ভুতভাবে নীরব’, ট্যুইট অভিষেকের
নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরকাণ্ডে NIA এবং বিজেপির(BJP) মধ্যে ‘যোগসূত্র’ রয়েছে। এমনকি, বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে ২০২২ সালের পুরনো মামলার তদন্তে গিয়ে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁদের দাবি, NIA’র SP ধনরাম সিংয়ের(Dhanram Singh) বাড়িতে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি(Jitendra Tiwari)। সাদা প্যাকেটে মুড়ে টাকার লেনদেন হয়। সেখানে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে কথাবার্তা হয়। তৃণমূলের সেই সাংবাদিক বৈঠকের পরে পরেই ট্যুইট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তিনি লিখলেন, ‘আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই যোগসাজশ অব্যাহত থাকলেও নির্বাচন কমিশন অদ্ভুতভাবে নীরব। ভোট সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্বে অবহেলা করছে তারা।’
এদিন কুণাল ও চন্দ্রিমা সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় কলকাতার কান ঘেঁষে থাকা নিউটাউনে NIA’র SP ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রায় ঘণ্টা খানেক তিনি সেখানে ছিলেন। এদিন এই প্রসঙ্গে কুণাল দাবি করেছেন যে, ‘২৬ মার্চ সন্ধ্যায় NIA’র SP ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে Entry নিয়েছিলেন জিতেন তিওয়ারি।’ কুণালের অভিযোগ, ধনরামকে তৃণমূল নেতাদের একটি তালিকা ধরিয়ে দেন জিতেন্দ্র। ধনরামকে বলা হয় ভোটের আগে কোন কোন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে। শুধু তাই নয়, একটি সাদা প্যাকেটও ওই অফিসারকে দেন বিজেপি নেতা। তাতে টাকা আছে কি না, পুলিশ তার তদন্ত করুক। গোটা বিষয়টি হয়েছে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর যখন নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। ওই দিন জিতেনের মোবাইলের টাওয়াল লোকেশন দেখা হোক বলেও এদিন দাবি করেন কুণাল।
একই সঙ্গে কুণাল এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘সেদিন আর কোথায় কোথায় জিতেন ফোন করেছিলেন, সেটাও তদন্ত করা হোক। ধনরামের মতো অফিসারেরা বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে এনআইএ তদন্ত হচ্ছে। অবিলম্বে ধনরামকে বাংলা থেকে দূর করে দিতে হবে। যদি কেউ এটা মানতে না-চান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ভিডিয়ো রিলিজ় করে দেব। দেখিয়ে দেব, এনআইএর এসপির বাড়িতে ঢুকছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।’ তৃণমূলের তরফে এদিন আরও জানানো হয়েছে যে, গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। যেভাবে ২০২২ সালের ঘটনা তুলে এনে ভূপতিনগরে তৃণমূলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাতেই পরিষ্কার যে, ভূপতিনগরের ঘটনা বিজেপি এবং NIA’র পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তাই অবিলম্বে ধনরাম সিংকে গ্রেফতার করতে হবে বলেও এদিন দাবি করে তৃণমূল(TMC)।