OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

গতির বিধি না মানা গাড়ির চালক বা মালিকদের কাউন্সেলিং লালবাজারে

গতি-বিধির তোয়াক্কা না করে বাইক বা গাড়ি চালানোয় দোষী চালকদের কাউন্সেলিং শুরু করল কলকাতা পুলিশ। কাউন্সেলিং হচ্ছে লালবাজারে।
10:47 AM Nov 24, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের(Bengal) বুকে পথ দুর্ঘটনা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চালু করেছেন Safe Drive Save Life প্রকল্প। তাতে লাভও হয়েছে। খোদ কেন্দ্র সরকারের পরিসংখ্যান বলছে বাংলায় পথ দুর্ঘটনার ঘটনা অনেকতাই কমেছে। আগে যা ৮ শতাংশ ছিল, এখন তা কমে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শহর কলকাতার বুকে একশ্রেনীর চালকদের মধ্যে বেপরোয়া গতিতে(Rush Driving) বাইক বা গাড়ি চালানোর প্রবণতা কিছুতেই কমছে না। খোদ কলকাতা পুলিশের(Kolkata Police) অভিজ্ঞতা বলছে, জরিমানা করে বা লাইসেন্স আটকেও এই মনোভাবের কোনও পরিবর্তন ঘটানো যাচ্ছে না। এমনকি গাড়ির বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পিড ক্যামেরাও বসানো হয়েছে শহরে। কিন্তু ছবি বদলাছে না। অগত্যা তাই লালবাজারে এবার শুরু করা হল গতি-বিধির তোয়াক্কা না করে বাইক বা গাড়ি চালানোয় দোষী চালকদের কাউন্সেলিং(Counseling of Drivers)।

কলকাতার বুকে দুর্ঘটনার বহর থামাতে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা এবং উড়ালপুলে গাড়ির সর্বাধিক গতিবেগ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বসানো হয়েছে স্পিড ক্যামেরাও। সেখানে প্রতি মুহুর্তে ধরা পড়ছে কোন গাড়ি কত বেগে যাচ্ছে। গতির বিধি ভাঙলে স্পিড ক্যামেরার সাহায্যে করা হচ্ছে জরিমানাও। তা সত্ত্বেও এক শ্রেণির গাড়িচালক পুলিশের স্পিড ক্যামেরা বা গতি-বিধির তোয়াক্কা করছেন না বলেই অভিযোগ। সেই বেপরোয়া গতিতে লাগাম পরাতে বিধি ভাঙা গাড়ির চালক বা মালিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি তাঁদের কাউন্সেলিং-ও শুরু করেছে লালবাজার।

মালিক ও চালকদের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা গাড়ি চালানোর সময়ে সতর্ক থাকে‌ন। পাশাপাশি, বিধি ভাঙায় জরিমানার টাকাও দ্রুত মেটাতে বলা হচ্ছে তাঁদের। আবার এটাও দেখা যাচ্ছে, অনেক সময়ে বাড়ির কাউকে না জানিয়েই প্রমোদভ্রমণে বেরিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন কোনও তরুণ বা তরুণী। এমন ঘটনা রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, দু’চাকা ও চার চাকার গাড়ি গতির নিয়ম ভাঙলেই তা স্পিড ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ ভাবে প্রতিদিন শহরে ১০-১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে গতি-বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা রুজু করছে পুলিশ। স্বয়ংক্রিয় এই পদ্ধতিতেই ওই মামলা সম্পর্কিত বার্তা পৌঁছে যায় মালিকের বা চালকের কাছে। কিন্তু এর পরেও দেখা যাচ্ছে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমছে না। অগত্যা অবাধ্য চালকদের বাগে আনতে গাড়ির মালিকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ট্র্যাফিক পুলিশ।

প্রথমে তাঁদের স্থানীয় থানার মাধ্যমে ট্র্যাফিক গার্ডে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তার পরে অভিযুক্ত গাড়ির মালিক বা চালককে বোঝানো হচ্ছে, কত গতিতে গাড়ি চালানো হয়েছে এবং কত গতিতে তা চালানো উচিত ছিল। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের তরফে অভিযুক্ত গাড়ির মালিকের ঠিকানা সংশ্লিষ্ট ট্র্যাফিক গার্ডে পাঠানো হচ্ছে। এর পরে ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরা মালিক বা চালকের সঙ্গে দেখা করে কথা বলছেন। অভিযুক্ত গাড়ির মালিক বা চালকদের কাউন্সেলিং করার পাশাপাশি বুঝিয়ে বলা হচ্ছে, বেপরোয়া গতিতে চালালে পুলিশ কী কী কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে বকেয়া জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে।

Tags :
bengalCounseling of Drivers.Kolkata PoliceMamata BanerjeeRush Driving.Safe Drive Save Life
Next Article