মিগজুয়ামের সম্ভাব্য অভিমুখ তামিলনাড়ু-অন্ধ্রপ্রদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি: হেমন্তের মাঝে বঙ্গোপসাগরের(Bay of Bengal) বুকে ফের ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone) প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা। এমনিতেই বর্ষার শুরুর আগে ও পরে ভারতীয় উপমহাদেশের ২ দিকে থাকা বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা থাকে। সাম্প্রতিককালের একের পর এক সমীক্ষা আবার বলে দিচ্ছে, আরবসাগর অপেক্ষা বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আগামী দিনে সাগরের জল যত বেশ গরম হবে, ততই ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনাও বাড়বে। বিপদ বাড়বে বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর মায়ানমারেরও। কিছুদিন আগেই দিল্লির মৌসম ভবন(Mousam Bhawan) আগেই জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরে এখন ঘূর্ণিঝড় তৈরির মতো পরিস্থিতি রয়েছে। আবার একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থাও জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ দিকেই নতুন এক ঘূর্ণিঝড় দানা বাঁধবে বঙ্গোপসাগরে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে মিগজুয়াম(Michaung)। এখন জানা যাচ্ছে সেই ঘূর্নিঝড়ের অভিমুখ হতে পারে উত্তর তামিলনাড়ু(Tamilnadu) ও দক্ষিন অন্ধ্রপ্রদেশ(Andhra Pradesh)। অর্থাৎ বাংলার(Bengal) সেই অর্থে কোনও বিপদ নাও ঘটতে পারে।
নানা সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলে নয়া ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হতে পারে ওড়িশা, বাংলা অথবা বাংলাদেশ। কিন্তু এদিন দিল্লির মৌসম ভবনের আবহাওয়াবিদদের একাংশের দাবি, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস পূর্ব ভারতের দিকে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। সেই হাওয়ার জন্য বঙ্গোপসাগরের বুকে সৃষ্ট হতে চলা ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে এগোতে পারবে না। সেই কারণেই তা তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে চলে যাবে। চেন্নাই ও মছলিপত্তনমের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে সে মূল ভূখন্ডে পা রাখবে। ল্যান্ডফলের সময়ে তার গতিবেগ হতে পারে ১০০ থেকে ১২০কিমি। যদি একান্তেই সেই শেষ মুহুর্তে গতিপথ বদল করে তাহলেও বড্ডজোর অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা দক্ষিণ ওড়িশায় তা ধাক্কা মারবে। বাংলা বা বাংলাদেশের দিকে এই ঝড় যাবে না। তবে মৌসম ভবনের আবহাওয়াবিদদের অপর অংশের দাবি, যে ঘূর্ণিঝড় এখনও জন্মই নেয়নি, সেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ কী হবে তা এখনই জোর গলায় বলা সম্ভব নয়। তবে উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা হাওয়া জোরালো হলে ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ ভারতেই আঘাত হানবে।