১৫ জুলাই ডিএ মামলার সুপ্রিম শুনানির সম্ভাবনা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্র সরকারের প্রদেয় মহার্ঘ্য ভাতার(Dearness Allowance) হারেই এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরাও(West Bengal State Government Employees) চাইছেন মহার্ঘ্য ভাতা। আর তা নিয়ে গত এক দেড় বছর ধরেই মনকষাকষি চলছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) দুই দফায় ৪ শতাংশ করে মহার্ঘ্য ভাতা দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। তারপরেও মান ভাঙেনি রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের। তাঁরা এখন তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) দিকে। কেননা সেখানে ঝুলে রয়েছে মামলা(DA Case)। এখন শোনা যাচ্ছে আগামী ১৫ জুলাই এই মামলার শুনানি হতে পারে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। গত ১৮ মার্চ শেষবার সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেদিন শুনানি হয়নি। মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেখার বিষয় এবার কী হয়।
২০২২ সালের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারইমধ্যে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করেছিল ৩টি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য। এরপর ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবারের মতো ডিএ মামলাটি উঠেছিল। এর পর থেকে একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও নানা কারণে সম্পূর্ণ শুনানি হয়নি। আবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবাননার মামলাও হয়। তবে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার শুনানি স্থগিত রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
মে মাসের ১৯ তারিখ গরমের ছুটি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। এরপর ফের ৭ জুলাই আদালত খুলবে। এরপর ১৫ জুলাই বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। সেই তারিখেই মামলাটি তালিকাভুক্ত করা আছে। মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা চলছে। যা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল(State Administrative Tribunal), কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এখন তাঁদের আশা সুপ্রিম কোর্টেও তাঁরা জয়ের মুখ দেখবেন।