ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দেবরাজকে দীর্ঘক্ষন জেরা
নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার সকাল ১১ টায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতায় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন দেবরাজ চক্রবর্তী(Debraj Chakraborty)। তার হাতে সময় সংকীর্ণ থাকায় দেবরাজ চক্রবর্তী সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে বললেন, - ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব।’নিজাম প্যালেসে ঢোকার সময় তিনি বলেন - ‘আমরা পার্সোনাল কিছু clarification এবং ডকুমেন্টস চেয়েছেন সেইগুলো দিতেই এসেছি।’
Clarification নিয়ে কিছু বলা যাবে??? -এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়ে কিছু বলবো না। তবে ওনাদের যা যা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আমি সবই নিয়ে এসেছি। আমি সহযোগিতা করব। ব্যাংক সংক্রান্ত ও পার্সোনাল নথিপত্র নিয়ে এসেছি।’
প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর নিজাম প্যালেস(Nizam Palace) থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ২০১৪ অথবা ২০১৫ সালে তিনি কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন না। তার কাছে ব্যাংকের একাউন্টে দুটি যে লেনদেন হয়েছে তা নিয়ে প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হয়েছিল তিনি সেই নথিগুলো এনে এজেন্সির অফিসারদের দাখিল করেছেন বলে দাবি করেন। দেবরাজ চক্রবর্তী আরো বলেন ভবিষ্যতেও তাকে যদি আবার সিবিআই অফিসাররা তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠান তিনি একজন নাগরিক হিসেবে সহযোগিতা করতে অবশ্যই আসবেন। এরপর সাংবাদিকরা শেখ শাজাহান ইস্যুতে দলীয় নেতা হিসেবে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দেবরাজ বলেন, তিনি দমদম এলাকার সাংগঠনিক নেতা।
ওই এলাকায় শেখ শাহজাহান(Sk.Sahazahan) থাকেন না।ফলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না ।আর শেখ শাহজাহানকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে নোটিশ ইস্যু করেছে, তা দলীয় নেতা হিসেবে নয় ব্যক্তি হিসেবে করা হয়েছে। উনি কি করবেন সেটি ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয়ে তিনি কিছু প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাকে বারবার কেন ফলো করা হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে দেবরাজ বলেন এটি একটি তদন্ত প্রক্রিয়া, তাতে এজেন্সি মনে হয়েছে তার কাছ থেকে কিছু জানার প্রয়োজন তাই তাকে ডাকা হয়েছে। তার মানে বা তার বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার হয়েছে তা থেকে কখনোই প্রমাণিত হয় না তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন।