জেলেই থাকছেন কেজরি, সিবিআইয়ের জবাব তলব দিল্লি হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি হয়েছিল কেজরির আর্জির। ওই শুনানিতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে সিবিআইকে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণার নেতৃত্বাধিন ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ২৬ জুন আচমকাই আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রাথমিক ভাবে তিন দিনের হেফাজত শেষ হওয়ার পর গত ২৯ জুন শনিবার আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আগামী ১২ জুলাই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে ওই দিনই দুপুর ২টো নাগাদ জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে হাজির করা হবে।
সিবিআইয়ের গ্রেফতারি ও হেফাজতের আর্জিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এদিন বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। কেজরির আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, ‘সিবিআইয়ের গ্রেফতারি সম্পূর্ণ অবৈধ। গ্রেফতারির জন্য যে মেমো ইস্যু করা হয়েছে সেই মেমো-ও যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। মাত্র এক অনুচ্ছেদে চার লাইনে গ্রেফতারির সংক্ষিপ্ত সার লেখা হয়েছে। ২০২২ সালে আবগারি দুর্নীতি মামলা নিয়ে এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। তার পরে ২০২৩ সালের এপ্রিলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করা হয়। সেই সমনে সাড়া দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টানা নয় ঘন্টা তাঁকে জেরা করা হয়। তার পরে আর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সিবিআই। আচমকাই গত ২৬ জুন গ্রেফতার করা হয়।’ কেজরির আইনজীবীর সওয়ালের ভিত্তিতে সিবিআইকে নোটিশ ধরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ১৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।