For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সন্দেশখালিতে ফের রাজীব কুমার

02:54 PM Feb 23, 2024 IST | Subrata Roy
২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সন্দেশখালিতে ফের রাজীব কুমার
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি ,সন্দেশখালি: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রামে পৌঁছলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই ফের সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) পা রাখেন রাজ্য পুলিশের প্রধান। সন্দেশখালি দুই নম্বর ব্লকের এক নম্বর বেড়মজুর গ্রামের কাছারি অঞ্চল থেকে শুরু করে একাধিক গ্রামে ঘুরছেন তিনি। শুনছেন সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ। সন্দেশখালিতে বানানো হচ্ছে একাধিক পুলিশ ক্যাম্প। সেখানেই অভিযোগ জানাতে পারবেন নির্যাতিত গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমারের(DG Rajeev Kumar) আবেদন আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যারা আইন-শৃঙ্খলা মানবে না এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ করা ব্যবস্থা নেবে বলে ডিজি রাজীব কুমার জানান।

Advertisement

এদিকে সন্দেশখালি ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সন্দেশখালিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবেশ করতে দেওয়া হল না বিজেপি মহিলা প্রতিনিধি দলকে। ধামাখালিতে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের সহ অন্যান্যদের।সন্দেশখালিতে যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র।সন্দেশখালির বেরমজুর গ্রামে শেখ শাজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। কলাগাছি নদীর তীরবর্তী সাধারণ চাষীদের সমস্ত জমি জোর করে ভয় দেখিয়ে দখল নেয় অজিত মাইতি, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অন্যদিকে,সন্দেশখালি কাণ্ডের ১৯ দিনের মাথায় দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে সন্দেশখালি পৌঁছল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এর আগে জাতীয় মহিলা কমিশন ও জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি পর্যবেক্ষণে যান। শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা মূলত সন্দেশখালির দুটি ব্লকে যাবেন এবং নির্যাতিত মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন। শুক্রবার তারা দিল্লি ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর রিপোর্ট জমা দেবেন।

Advertisement

দেরিতে হলেও সন্দেশখালির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষের কাছে পৌঁছানো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের মহিলা থেকে পুরুষ সকলেই তাদের দুর্বিসহ জীবনযাত্রার কথা তুলে ধরেন। শুক্রবার ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালির বেরমজুর এলাকা। কাছারি অঞ্চলের গরিব চাষীদের জমি দখল করে শেখ শাজাহানের ভাই শেখ সিরাজ উদ্দিনের ভেড়ির আলাঘরে আগুন দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা।গ্রামবাসীদের অভিযোগ তাদের প্রায় ৪০ বিঘা জমি জোর করে দখল করে নেয় শেখ সিরাজউদ্দিন। চাষের জমিতে রাতারাতি সামুদ্রিক নোনা জল ঢুকিয়ে বানানো হয় মেছো ভেড়ি। প্রতিবাদ করতে গিয়ে জখম হতে হয়েছে অনেককে। সন্দেশখালি থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয় নি।উল্টে প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের কপালে জুটেছে অত্যাচার লাঞ্ছনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার(ADG SouthBengal ) গ্রামবাসীদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন তাদের সমস্ত অভিযোগ পুলিস গুরুত্ব সহকারে দেখবে।

Advertisement
Tags :
Advertisement