OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

দলের মুখ পুড়িয়ে দিলেন কোনঠাসা দিলীপ, উগরে দিলেন ক্ষোভ

সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে কার্যত দলের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
01:16 PM Feb 24, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: কার্যত তাঁর হাত ধরে, তাঁর আমলেই বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) ঐতিহাসিক উত্থান ঘটেছে বাংলার মাটিতে। তবুও আজ তিনি দলে চূড়ান্ত ভাবে কোনঠাসা। দলের রাজ্য সভাপতির পদে তিনি দুই দফায় দায়িত্ব সামলেও মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর অনুগামীদেরও নানা পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাঁকে কার্যত গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে যে তাঁর পিঠ এখন দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। শেষে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। আর সেটাও সংবাদমাধ্যমে। নজরে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) মুখে যখন সন্দেশখালি(Sandeshkhali) নিয়ে বঙ্গ বিজেপি মাঠে রে রে করে নেমে পড়েছে তখন তার ত্রিসীমানয় দেখা যাচ্ছে না দিলীপকে। কেন তাঁকে দেখা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্নের মুখ খুলে কার্যত দলের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছেন তিনি।

কী বলেছেন দিলীপ? বঙ্গ বিজেপির দুই দফার সভাপতি এবং মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জানিয়েছেন, ‘নেতারা ডাকেননি, তাই যাইনি। ডাকলে নিশ্চয়ই যেতাম। রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা যাচ্ছেন। আমি তো দলের পদাধিকারী নই এখন। সেই কারণে হয়তো ডাকা হয়নি। যাঁরা নেতৃত্বে আছেন তাঁরা ঠিক করছেন কে যাবেন, কে যাবেন না। দল কাল যদি আমাকে ধরনায় বসতে বলে, বসব। আদিবাসীরাই সবচেয়ে আক্রান্ত। তাদেরই জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে বেশি। ন্যাজাটের দলীয় কর্মীরা আমাকে ডেকেছিলেন। তাঁরা আমাকে চেনেন, জানেন। সন্দেশখালির কর্মীরাও চেনেন। তাঁরা ন্যাজাটে এসে কথা বলে গিয়েছেন। ন্যাজাট থেকে নদী পথে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। আজ যে নেতারা সন্দেশখালি নিয়ে টিভিতে গলা ফাটাচ্ছেন তাঁরা ক'জন সন্দেশখালিকে চেনেন? ক'বার গিয়েছেন সেখানে? আমি বহুবার সন্দেশখালি গিয়েছি। সুন্দরবনের আরও বহু দ্বীপে গিয়েছি। যেখানে যেতে পারিনি, সেখানে ভোটের সময় হেলিকপ্টার নিয়ে গিয়েছি। বাংলায় অনেক সন্দেশখালি আছে। সুন্দরবনের ওই দ্বীপের মানুষ নিজেরাই প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলন এখন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে।’

দিলীপ বিজেপির সদস্য। সেই সুবাদে তিনি সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলের এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বলবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এদিন তিনি যেভাবে বঙ্গ বিজেপি ও দলের নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে দিলেন তা রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে যখন দোরগড়ায় লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে। আবার একই সঙ্গে ১ মার্চ থেকে বাংলায় সভা করতে আসা শুরু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগে দিলীপ মুখ খুলে কার্যত বুঝিয়ে দিলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যতই মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিন না কেন, বঙ্গ বিজেপিতে এখন লবিবাজি কার্যত চূড়ান্ত আকার নিয়েছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতারা এখন আর নিএদের বাইরে কাউকেই চিনতে চাইছেন না, সঙ্গে রেখে আন্দোলন করতে চাইছেন না। পাছে যদি ফুটেজে তাঁরা ভাগ বসিয়ে ফেলে। অগ্যতা বঙ্গ বিজেপি ভাগ হয়ে গিয়েছে শত শত গোষ্ঠীতে। আবার এরাই ২৪’র ভোটে বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের কথা বলে। দিলীপ কিন্তু দেখিয়ে দিলেন দলের কঙ্কালটাই এখন পড়ে আছে।

Tags :
Bengal BjpDilip ghoshGeneral Election 2024Sandeshkhali
Next Article