দিলীপ ঘোষ, দেবশ্রী চৌধুরীদের ‘ভাগ্য’ ঝুলে রইল
নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য শনিবার রাজ্যের ২০ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু সেই তালিকায় নেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বর্ধমান-দুর্গাপুরের মতো গতবারের জেতা আসনের প্রার্থীর নাম। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ, দেবশ্রী চৌধুরী, জয়ন্ত রায়, রাজু সিং বিস্ত, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ও কুনুর হেমব্রমের ভাগ্য ঝুলিয়ে রাখলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। ওই পাঁচ জন আদৌ ফের টিকিট পাবেন কিনা, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যে ১৮ আসনে জিতেছিল বিজেপি। পরে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় উপনির্বাচনে আসানসোল আসন হাতছাড়া হয় বিজেপির। পরে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও ডিগবাজি খেয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৬। এদিন দখলে থাকা ১৬ আসনের মধ্যে ১০ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার মধ্যে ৯ আসনে আগেরবারের জয়ী সাংসদদের প্রার্থী করা হয়েছে। শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার আসনে জয়ী জন বার্লাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারে প্রার্থী হয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদার, মালদা উত্তরে খগেন মুর্মু, রানাঘাটে জগন্নাথ সরকার, বনগাঁয় শান্তনু ঠাকুর, হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ায় জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বাঁকুড়ায় সুভাষ সরকার এবং বিষ্ণুপুরে সৌমিত্র খাঁ। বাকি জেতা ছয় আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি।
বিজেপি সূত্রে খবর, গতবারের জেতা যে ছয় আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি, সেখানে নতুন প্রার্থীদের খোঁজ চলছে। বেশ কয়েকজনের নাম নিয়ে চর্চা চলছে। ফের একবার বিশেষ সমীক্ষা চালানো হবে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং আসনে প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের ভূমিকাতেও খূশি নন মোদি-শাহরা। রাজ্যে দুদিনের সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরের সভার ধারে কাছে দেখা যায়নি মেদিনীপুরের সাংসদকে।