ফল খেলেই অম্বল!কোনটা সঠিক ধারণা-জানালেন চিকিৎসকেরা
নিজস্ব প্রতিনিধি : ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী।আমাদের দৈন্দদিন জীবনে ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রতিটি মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল থাকা চাই, একথা বলছেন পুষ্টিবিদেরা। তবে অনেকে মনে করেন যে, ফল খেলে অ্যাসিডিটির আশঙ্কা বাড়ে, তাই ফল খেতে চান না অনেকে। তবে আপনি কী জানেন এটি ভুল নাকি ঠিক ধারণা। জেনে নিন এই বিষয়ে ঠিক কি বলছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিসৎকেরা জানাচ্ছেন, এমন ধারণার পেছনে বিজ্ঞানসম্মত কোন যুক্তি নেই। ফল খেতেই পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই। বরং এটি পুষ্টিকর। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে মনে রাখা প্রয়োজন যে, কি ফল খাচ্ছেন! যেমন অনেকের লেবু জাতীয় ফল খেলে সমস্যা হয়। গলা বুক জ্বালা করে। তাই যাদের এই সমস্যাগুলো হয় তাঁদের লেবু জাতীয় ফল না খাওয়াই ভাল।
এই নিয়ে কলকাতার এক চিকিৎসক জানান, সকলের পেটেই হজমে সাহায্যকারী অ্যাসিড উপস্থিত থাকে। এই অ্যাসিড কোনও কারণে এই অ্যাসিড খাদ্যনালী বেয়ে উপরের দিকে উঠে এলেই গলা, বুক জ্বালা করে। মুখ টকে যায়। এই ভোগান্তির নাম হল জিইআরডি।
এই সমস্যায় ভুক্তভোগীদের একাংশের ফল খেলে সমস্যা দেখা যায়। তাই সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মত ফল খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ফল খাওয়া জরুরী কেন এই নিয়ে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা প্রতিটি ফলে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিপরীতে কাজ করে থাকে। ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ যা শরীরে মেদ জমতে বাঁধা দেয় না। এরই সঙ্গে ফাইবার কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।ফল আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে। এছড়াও ফল আমাদের দেহের সৌন্দর্য্যও বাড়ায়।
তবে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত রোগীদের একটু সতর্ক হয়ে চলাই ভাল। যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০-এর বেশি। সেই ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে রক্তে সুগার লেভেলে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।তবে সুগার রোগীরা অনায়াসে আপেল, পেয়ারা, ন্যাশপাতি, খরমুজের মতো লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল খেতেই পারেন। তবে ফ্রুট জুস খেলে টাটকা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ফল থেকে টাটাকা জুস বের করে খেলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বাজারে কৌটজাত ফ্রুট জুস খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে স্বাস্থ্যের পক্ষে। তাই সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা।