নোংরামি শুরু পাক নির্বাচন কমিশনের, নওয়াজের হেরে যাওয়া আসনে ফল স্থগিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই নওয়াজ শরিফের দলকে জেতাতে খুল্লামখুল্লাভাবে আসরে নেমেছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও ভোটের ফলে কারচুপি করেও পিএমএল (এন)-কে ক্ষমতায় আনতে পারেনি। কিন্তু তাতেও নোংরামি বন্ধ করেনি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্রীতদাস হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা। এবার নওয়াজ শরিফের হেরে যাওয়া আসনে ফলাফল স্থগিত করে চূড়ান্ত নোংরামি করলেন তিনি। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওই সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুঁসছে আম জনতা। অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অপদার্থ রাজার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শুরু থেকেই সেনার পছন্দের নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসাতে আদালত খেয়ে নেমেছিল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। ভোটে যাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা ব্যাট প্রতীকে না লড়তে পারেন তার জন্য চেষ্টার কোনও কসুর রাখেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা। কিন্তু ইমরান খানের দলের জয় আটকাতে তাঁর যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অন্তত ৬০টি আসনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হওয়া সত্বেও তাদের জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। ওই আসনগুলিতে নওয়াজ শরিফের প্রার্থীদের জোর করে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
লাহোর থেকে জিতলেও মানসেহরা আসনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা দুর্নিতির শিরোমণি নওয়াজ শরিফ। বিপুল ভোটে হার মানতে হয়েছে তাকে। কিন্তু রবিবার আচমকাই ওই আসনের চূড়ান্ত ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেছেন পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রধান সিকান্দার সুলতান রাজা ও তার স্যাঙাতরা। গণনায় কারচুপির অভিযোগে ওই ফলাফল স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কমিশন। ওই সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।