শাহরুখ-পুত্রকে ছাড়ার জন্য ২৫ কোটি ঘুষের দাবি সমীর ওয়াংখেড়ের, তদন্ত শুরু ইডির
নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের আইনি জটিলতার মুখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (NCB) প্রাক্তন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। তবে প্রাক্তন NCB অফিসারের নামটা জড়িয়ে আছে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের সঙ্গে। ২০২১ সালে বিলাসবহুল ক্রুজে অভিযান চালিয়ে মাদক দ্রব্য খাওয়ার অভিযোগে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিলেন তখনকার কর্মরত NCB অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। কিন্তু পরে আরিয়ানের বিরূদ্ধে কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২০ দিন জেলে কাটিয়ে ছিলেন আরিয়ান। এই ঘটনার কয়েকমাস পরেই বিপুল আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় অফিসারকে।
তাঁর বিরুদ্ধে ছিল একাধিক আইনি নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ। এছাড়াও পরে শোনা যায়, আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার ঘুষ বাবদ শাহরুখের কাছ থেকে তিনি ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। ইডি তদন্তে বিষয়টি আবিষ্কার করেন এবং শাহরুখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এমনকী নিজে বাঁচার জন্যে সমীর ওয়াংখেড়ে পরে দাবি করেন যে, শাহরুখ নিজেই ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন হোয়াটসঅ্যাপে। যদিও বিষয়টি পুরোটাই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মামলায়।কিন্তু এত কান্ড করেও তাঁকে জেলে ঢোকাতে পারেনি ইডি। গত সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেয়ে যান সমীর ওয়াংখেড়ে। তবে এখনও নিস্তার পাননি সমীর ওয়াংখেড়ে। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) প্রাক্তন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আয়ের চেয়েও বেশি সম্পদ রয়েছে সমীর ওয়াংখেড়ের কাছে। গত বছরের মে মাসে দায়ের করা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্টের (এফআইআর) উপর ভিত্তি করে কয়েকদিন আগেই ভারতীয় রাজস্ব পরিষেবা (RRS) ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে। খুব শীঘ্রই তাকে ইডি এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারে। ED আধিকারিকরা বলেছেন যে, ইতিমধ্যেই ওয়াংখেড়ে তার বিরুদ্ধে ইডি মামলা দায়ের করার কথা জানতে পেরে, হাইকোর্টে আবেদন করেছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও জোরপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সিবিআই ইতিমধ্যেই এই মামলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ওয়াংখেড়ে এবং অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) অফিসার তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি যে, সিবিআই-এর পদক্ষেপটি কিছু এনসিবি অফিসারের প্রতিহিংসার ফল। আরিয়ান খানকে ৩ অক্টোবর, ২০২১-এ গ্রেফতার করা হয়েছিল।