কোটায় আত্মঘাতী ২৭ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফের কোটায় ঘটল পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা। রাজস্থানের কোটায় পেয়িং গেস্ট রুমে আত্মঘাতী হলেন বিটেকের ফাইনাল ইয়ার এক পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২৭ বছর বয়সী নূর মহম্মদকে বৃহস্পতিবার রাতে বিজ্ঞান নগর এলাকায় তাঁকে ঘর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার বাসিন্দা মহম্মদ চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিটেক ডিগ্রি অর্জন করেন।
এই ঘটনা নিয়েভ ডিএসপি (বিজ্ঞান নগর) ধর্মবীর সিং জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মহম্মদ কোটার কোচিং ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেছিলেন । এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি তাঁর কোটা পিজি থেকে অনলাইন ক্লাস নিতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক মেসের ছেলে মহম্মদের ঘরের বাইরে একটি টিফিন বক্স পড়ে থাকতে দেখে পিজির মালিককে খবর দেয়। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ছাত্রের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং তারা কোটায় যাচ্ছেন। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কোটায় তিনজন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ জানুয়ারি ১৮ বছরের নীহারিকা সিং জেইই-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ তবে পরীক্ষার দু দিন আগে আত্মহত্যা করেন নীহারিকা। পুলিশ জানিয়েছে সুইসাইট নোট নীহারিকা লিখেছেন,’আম্মু আর বাবা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স করতে পারবো না। তাই আমি আত্মহত্যা করছি। আমি একজন লুজার। এটি আমার শেষ রাস্তা।‘
অন্যদিকে গত ২৪ শে জানুয়ারি কোটার জওহর নগর এলাকার একটি হস্টেল থেকে মহম্মদ জায়েদ নামে এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । আত্মঘাতী পড়ুয়া উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা। আর এবার ফের কোটায় ঘটল আত্মহত্যার ঘটনা।
উল্লেখ্য, তৎকালীন অশোক গেহলট সরকার ২০২৩ সালে কোচিং সেন্টারগুলিকে এই জাতীয় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে সহায়তা করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল। কোচিং সেন্টারগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা এবং শিক্ষার্থীদের বিনোদন নিশ্চিত করার নির্দেশনা। আর এই নির্দেশিকার মাঝেই ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল কোটায় । জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে কোটায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে মোট ২৬ জন পড়ুয়া। তবে বারবার কেন এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।