For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

৫২৭ ভারতীয় পণ্যে ক্যান্সার উপযোগী উপাদান পেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ গুলিতে ব্যবহৃত একাধিক খাদ্যের উপর অনুসন্ধান চালিয়ে এই রাসায়নিকটি ৫২৫ টি খাদ্য পণ্যে পাওয়া গিয়েছে। যাদের মধ্যে ৩৩২ কি খাবারের উৎস ভারতে।
10:47 AM Apr 24, 2024 IST | Sushmitaa
৫২৭ ভারতীয় পণ্যে ক্যান্সার উপযোগী উপাদান পেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১ টা নয়, ২ টো নয়, প্রায় ৫২৭ টি ভারতীয় পণ্যে ক্যান্সার উপযোগী উপাদান পেল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২০-এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪- এর এপ্রিলের মধ্যে ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ভারতের সঙ্গে যুক্ত ৫২৭ টি পণ্যে ক্যান্সার উপযোগী দূষিত উপাদান খুঁজে পেল। যার মধ্যে রয়েছে, বাদাম, তিল বীজ (৩১৩), ভেষজ, মশলা (৬০),ডায়েটিক খাবার (৪৮)-সহ একাধিক খাবারে ক্যান্সার উপযোগী পণ্যের খোঁজ পেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই প্রায় ৮৭ টি পণ্যের চালান প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বাকিগুলির মধ্যে অনেক পণ্যকেই বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই সকল পণ্যের মধ্যেই ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গিয়েছে, যেটি মুখ্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান।

Advertisement

যার চিহ্ন ইতিমধ্যেই হংকং এবং সিঙ্গাপুরে আমদানিকৃত একাধিক ভারতীয় পণ্য থেকে পাওয়া গিয়েছিল। এরপরই সেই ভারতীয় পণ্যগুলির ব্যবহার সে দেশে নিষিদ্ধ করা হয়। ইথিলিন অক্সাইড, মুলত বর্ণহীন গ্যাস, কীটনাশক রাসায়নিক পদার্থ এবং জীবাণুমুক্ত স্প্রে হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। মুলত ইথিলিন অক্সাইড লিম্ফোমা এবং লিউকোমিয়া ক্যান্সার প্রতিরোধে জীবাণুমুক্ত রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। Rappid Alert System for food and feed (Rasff) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলিতে ব্যবহৃত একাধিক খাদ্যের উপর অনুসন্ধান চালিয়ে এই রাসায়নিকটি ৫২৫ টি খাদ্য পণ্যে পাওয়া গিয়েছে। যাদের মধ্যে ৩৩২ কি খাবারের উৎস ভারতে। ভারত ছাড়াও আরও একাধিক দেশ রয়েছে।

Advertisement

রামাইয়া অ্যাডভান্সড টেস্টিং ল্যাবের চিফ অপারেটিং অফিসার জুবিন জর্জ জোসেফ বলেন, ইথিলিন অক্সাইড ছাড়াও আরও দুটি রাসায়নিক বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হল ইথিলিন গ্লাইকোল। যেটি মুলত কাশির সিরাপে ব্যবহার করা হয় এবং এর ফলে শিশুদের মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে। সম্ভবত সালমোনেলা এবং ইকোলীইর বিরুদ্ধে পণ্য জীবনুমুক্ত করতে ইথিলিন অক্সাইড ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাঁরা আরও জানান, যে কোনও দেশেরই উচিত, কোনও দেশ থেকে আনা দ্রব্যের নিরাপত্তা পরীক্ষা করা। দেশে আনা মাত্রই ব্যবহারের জন্যে বাজারে পাঠিয়ে দেয়া উচিত নয়। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ১২১ টি দূষিত ভারতীয় পণ্য চিহ্নিত করা হয়েছিল কিন্ত তারপরেও ভারত কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।

Advertisement
Tags :
Advertisement