চার মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড ফ্রান্স, ফাইনালে স্পেন
নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র চার মিনিটের স্প্যানিশ ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল ফ্রান্সের রক্ষণ। আর সেই সুযোগে দুই গোল করে ইউরো কাপের ফাইনালের টিকিট জোগাড় করে নিলেন আলভারো মোতারোরা। ফ্রান্সের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছেন রান্ডাল কুলো মুয়ানি। স্পেনের পক্ষে গোল করেছেন লামিন ইয়ামাল ও ড্যানি আলমো। ফ্রান্সকে হারিয়ে এক যুগ বাদে ইউরোর ফাইনালে পৌঁছল স্পেন।
গ্রুপ লিগ ও নক আউটে সুনামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা ফ্রান্স মঙ্গলবার রাতে প্রথম থেকেই দাপটের সঙ্গে ফুটবল খেলতে শুরু করে। একের পর এক আক্রমণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্পেনের রক্ষণকে নাকানিচোবানি খাওয়াতে শুরু করেন এমবাপে-কুলো মুয়ানিরা। তার ফলও পেয়ে যায়। ম্যাচের নয় মিনিটের মাথায় মাঝ মাঠ থেকে বাঁ প্রান্তে থাকা এমবাপেকে লক্ষ্য করে পাস বাড়ান ডেম্বেলে। সেই বল ধরে বক্সের মধ্যে নাভাসের মার্কিং ফাঁদ এড়িয়ে রান্ডাল কুলো মুয়ানির উদ্দেশে ক্রস করেন কিলিয়ান এমবাপে। সেই ক্রসে দুর্দান্ত হেড করে স্পেনের জাল কাঁপিয়ে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন কুলো মুয়ানি। গোল খাওয়ার পরেই খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো জেগে ওঠে স্পেনের খেলোয়াড়রা। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২১ মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় স্পেন। অধিনায়ক আলভারো মোরাতোর পাস থেকে ডি বক্সের বাইরে থেকে প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে ফ্রান্সের চার ডিঠেন্ডারকে হতভম্ব করে দিয়ে গোল লক্ষ্য করে দুরন্ত শট নেন লামিন ইয়ামাল। তাঁর বাঁকানো শট পোস্টে লেগে ঢুকে যায জালে। অসহায়ভাবে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না ফ্রান্সের গোলরক্ষক মাইগানানের।
সমতা ফেরানোর পরে আক্রমণের ঝড় তুলে ফরাসি রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করেন ইয়ামাল-নিকো উইলিয়ামসরা। চার মিনিট বাদে নাভাসের শট প্রতিহত হলে সেই বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই ফরাসি ডিফেন্ডারের মাঝ খান দিয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নেন ড্যানি অলমো। ওই বল ফরাসি মিডফিল্ডার ইউলেস কুন্দের পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এর পর আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ শানিয়েছিল দুই দলই। যদিও তাতে লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফের প্রেসিং ফুটবল খেলতে শুরু করে স্পেন। পাল্টা আক্রমণ চালাতে শুরু করে ফ্রান্সও। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ডেম্বলের শট হাত ছুঁয়ে বিপন্মুক্ত করে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। বার বার আক্রমণ তুলে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েও স্পেনের রক্ষণ দুর্গকে পরাস্ত করতে পারেননি ফরাসিরা। ৮১ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে উঠে এসে ফের বাঁকানো শট নিয়েছিলেন ইয়ামাল। তা পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৮৬ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু সেই সুযোগ অবহেলায় নষ্ট করেন তিনি। এর পরে শত চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ফ্রান্স।