‘ষড়যন্ত্র শিকার’, জেল থেকে বেরিয়ে মুখ খুললেন হেমন্ত সোরেন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জমি কেলেঙ্কারি মামলায় টানা পাঁচ মাস পর রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেল থেকে বেরিয়ে এলেন হেমন্ত সোরেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী কল্পনা। আর ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে জেলের সামনে জেএমএম কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
শুক্রবার জেল থেকে বের হয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানান, ‘ এন বিচারের জন্য বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে। আমি নিজে পাঁচ মাস জেলবন্দি ছিলাম। আজ আমি মুক্তি পেলাম। আজ গোটা দেশের কাছে বার্তা পৌঁছল কী করে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।‘ অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের পর মুখ খোলেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। তিনি বলেন, 'বহু মাস পর এই দিনটি এসেছে। আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
গত ২০ জানুয়ারি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ৪৮ বছর বয়সী হেমন্ত সোরেনকে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর। এরপরেই গত ২৭ শে জানুয়ারি ইডি হেমন্ত সোরেনকে নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। নয়বার ইডির সমন এড়িয়ে যাওয়া হেমন্ত সোরেনকে ২৯ জানুয়ারি বা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই কারণেই ২৯ শে জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট ইডি প্রথম ডেকে পাঠান হেমন্ত সোরেনকে। সেই সময় হাইকোর্টে সোরেন দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তৈরি করার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ডে মাফিয়াদের দ্বারা অবৈধভাবে জমির মালিকানা পরিবর্তনের একটি বিশাল চক্র- এর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাহেবগঞ্জে বেআইনি খনন সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি ২০২১ সালে তিনি নির্বাচনী বিধি ভেঙে নিজের নামে খনির লিজ আদায় করেছিলেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন হেমন্ত সোরেন।