জোর ধাক্কা ইমরান খানের, মনোনয়ন খারিজ করল নির্বাচন কমিশন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: জোর ধাক্কা খেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী সংসদ নির্বাচনে দুই আসনে লড়তে চেয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু ফৌজদারি মামলায় জেলের সাজা ভোগ করছেন এমন ঠুনকো যুক্তি দেখিয়ে পঞ্জাবের রাজধানী লাহোর এবং মিয়ানওয়ালি আসনে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রদেশের প্রাদেশিক সভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে লড়তে চেয়ে লাহোর ও মিয়ানওয়ালি আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান। জমা পড়া মনোনয়নপত্র ঝাড়াই-বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল শনিবার। আর এদিনই দুই আসনে ৭১ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আগামী সংসদ নির্বাচনে লড়াই করা হচ্ছে না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতার। শুধু ইমরান খানেরই নয়, পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা ও প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে মুলতানের এনএ-১৫০, পিপি-২১৮ এবং থারপারকারের এনএ-২১৪ আসন থেকে লড়তে চেয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট আজীবন নিষিদ্ধ করলেও পাক সেনাপ্রধান আসীম মুনিরের রাজনৈড়তিক প্রভু তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। যা নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। পিটিআই নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, পাক সেনাপ্রধানের পোষ্য ভৃত্য হিসাবে কাজ করে চলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তাঁর স্যাঙাতরা। আসন্ন জাতীয় সংসদ ভোটে যাতে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতৃত্ব লড়তে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে নখ-দাঁত বের করে ঝাঁপিয়েছেন তাঁরা।