কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আবগারি দফতরের অফিসারের
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এমনটাই রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন লোকো পাইলট ও একজন ট্রেনের গার্ড। জখম হয়েছেন প্রায় ২৫ জন যাত্রী। প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মৃত যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য আবগারি দফতরের(Excise Department) সাব ইন্সপেক্টর সালেব সুব্বা (৩৪)। তাঁর বাড়ি কালিম্পং জেলার গরুবাথান এলাকায়,সেখানে তার বাবা মা থাকেন।তবে স্ত্রীর মেডিক্যাল কলেজের চাকরি সূত্রে স্ত্রী ও দুই বছরের সন্তান নিয়ে নিউ জলপাইগুড়িতে থাকতেন তিনি। বিগত দিনে তিনি দার্জিলিংয়ে ওসি পদে কর্মরত থাকলেও লোকসভা নির্বাচনের সময় তার বদলির নির্দেশ আসে। বর্তমানে মালদহের মানিকচক আবগারি সার্কেলে ওসি(OC) পদে কর্মরত ছিলেন।
বিগত কিছু দিন আগেই ছুটিতে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে(Kanchanjangha Express) করে মালদহে কাজে যোগদান করতে আসছিলেন।আসার পথেই শিলিগুড়ির রাঙাপানি সংলগ্ন এলাকায় মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের। মালগাড়িটি পেছন থেকে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। ট্রেনেই সাধারণ কামরায় অনান্য যাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন আফগারির ওই সাব ইন্সপেক্টর। দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে।ইতিমধ্যে তার মৃতদেহ আনা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।এবিষয়ে আবগারি দফতরের ডেপুটি এক্সাইস কালেক্টর রণদা প্রসাদ বিশাশ্ব বলেন,সাবেল সুব্বা বিগত তিন মাস আগে মানিকচকে আবগারি ওসি হিসেবে নিযুক্ত হন।তার দুই বছরের সন্তান অসুস্থ হওয়ায় বিগত ১৩ই জুন দফতরের অনুমতি নিয়ে ছুটিতে বাড়ি গেছিলেন। সোমবার ছুটি শেষে করে বাড়ি থেকে ফিরে কাজের যোগদানের কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগে রেল দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে ।অন্যদিকে, মানিকচকের এক মদ ব্যবসায়ী দেবাশীষ কর্মকার তার মৃত্যুর কথা মেনে নিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিগত কিছুদিন আগেই মানিকচকের(Manickchak) সব ব্যবসায়ীদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেছিলেন। এমনকি রবিবার রাতে তার সঙ্গে ফোনেও কথা হয়েছে। তারপর এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া,ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন বোলপুরের মিঠুন কুন্ডু। তিনিও অসংরক্ষিত কামরায় ছিলেন। কিন্তু তার কামরাও সুরক্ষিত ছিল। তার পিছনের দুটি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গৌহাটিতে(Gauhati) কাজ করেন তিনি। সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বোলপুরে বাড়ি ফিরছিলেন। অন্যদিকে ত্রিপুরার দুই বাসিন্দা তারাও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে কলকাতায় কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। যদিও তারা সংরক্ষিত কামরায় ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে কোনরকম তারা সড়কপথে মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছন। দুজনেই জানান মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা।