EXIT POLL জালিয়াতি: বিহারে চিরাগের দল লড়েছে ৫ আসনে, দেওয়া হয়েছে ৬ আসন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কথায় বলে গল্পের গরু গাছে চড়ে। শনিবার লোকসভার শেষ দফার ভোটের শেষে আজ তক ও অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথফেরত সমীক্ষা গল্পের গরুকে আকাশে চড়িয়ে দিয়েছে। সমীক্ষার নামে যে দল যত আসনে লড়েনি, সেই দলকে সেই আসন দিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কোন দল কোন রাজ্যে জোট বেঁধে লড়েছে, সেই তথ্যও যে সমীক্ষকদের কাছে ছিল না তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গল্প নয়, সত্যি। এমন ঘটনাই ঘটেছে। শনিবার বুথফেরত সমীক্ষায় বিহারের ফলাফল নিয়ে পূর্বাভাস দিতে গিয়ে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিহারে এনডিএ ২৯ থেকে ৩৩ আসন পেতে পারে। আরজেডি-কংগ্রেস মহাজোট পেতে পারে ৭ থেকে ১০ টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ০-২ আসন। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু এনডিএ’র শরিক কোন দল কত আসন পাবে সেই হিসাব দিতে সমীক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি ৪ থেকে ৬টি আসন পাবে। আর এই পরিসংখ্যানই রাজনৈতিক পণ্ডিতদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে।
কেননা, বিহারের ৪০ লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭টিতে লড়েছে বিজেপি। ১৩টিতে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। পাঁচটি আসনে চিরাগের এলজেপি এবং একটি করে আসনে লড়েছে উপেন্দ্র কুশায়াহা ও জিতরাম মাজির দল। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে চিরাগের দল পাঁচটি আসনে লড়েছে, সেখানে কীভাবে ছয়টি আসনে জিতবে? পাঁচটি আসন জেতার সুবাদে কী একটি আসন বোনাস হিসাবে পাচ্ছে চিরাগের দল?
শুধু বিহার নিয়েই নয়, তামিলনাডুর পূর্বাভাস জানাতে গিয়েও হাসির খোরাক হয়েছে আজ তক-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার তথাকথিত ‘বিজেপিকে খুশি করার’ বুথফেরত সমীক্ষা। ছোট বাচ্চারাও জানে, গত কয়েক বছর ধরেই তামিলনাডুতে কংগ্রেস ও ডিএমকে জোট বেঁধে লড়ছে। এবারের ভোটেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। অথচ ‘বিজেপিপন্থী’ হিসাবে পরিচিত অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া কংগ্রেস এবং ডিএমকে’কে আলাদা জোট হিসাবে দেখিয়েছে। তামিলনাডুর ৩৯টি সিটের মধ্যে ২ থেকে চারটি দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। ১৩ থেকে ১৫টি সিট দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস জোটকে। আর ডিএমকে জোটকে দেওয়া হয়েছে ২০-২২ আসন। রাজনৈতিক মহল এখানেই প্রশ্ন তুলেছে, যারা রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণই জানে না তাদের বুথফেরত সমীক্ষা কতটা বিশ্বাসযোগ্য। উল্লেখ্য ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের সময়েও ‘আজ তক-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া’র বুথফেরত সমীক্ষায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কড়া টক্করের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। ওই পূর্বাভাস কত বড় মিথ্যা ছিল তার প্রমাণ মিলেছিল ফলাফলে।