মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হয়ে গেল Eye Bank
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে ফি বছর প্রায় ১২ হাজার চক্ষু বা কর্নিয়ার চাহিদা রয়েছে। অথচ সেই তুলনায় যোগান খুবই সামান্য। গত বছর পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ৪ হাজার। কেননা চোখ সংরক্ষণের ব্যবস্থাই নগণ্য। বাম জমানায় এই নিয়ে কোনও কাজই হয়নি। কিন্তু তৃণমূলের জমানায় সেই ছবি বদলেছে এবং বদলাচ্ছে। কেননা রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার এখন রাজ্যের একের পর এক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু করছে Eye Bank। যাতে প্রয়োজনের সময় কর্নিয়া পেতে সমস্যা না হয়। সেই সূত্রেই রাজ্য সরকার মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বাঁকুড়া্র সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৪টি Eye Bank চালু করেছে আগেই। এবার রাজ্য সরকারের হাত ধরেই রাজ্যের পঞ্চম এবং উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় Eye Bank চালু হয়ে গেল মালদা জেলার সদর শহর ইংরেজবাজারে থাকা মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(Malda Medical College and Hospital)।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মালদার এই হাসপাতালে চালু হয়েছে Eye Bank। আর প্রথম দিনেই দুইজনের চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করে তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে এই হাসপাতাল। নতুন বিভাগ শুরু হওয়ায় জেলার চিকিৎসা পরিকাঠামোয় ইতিহাস তৈরি হল দাবি মালদা জেলা চিকিৎসক মহলের। চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাই আর বাইরে যেতে হবে না। জেলাতেই ফিলবে উন্নত চিকিৎসা আর সেটাও বিনামূল্যে। আর শুধু মালদা জেলার লোকেরাই নয়, উত্তরবঙ্গের অনান্য জেলা থেকেও অনেক মানুষ এবার এই হাসপাতাল থেকে চোখের ভাল চিকিৎসা পাবেন। তাঁদের চোখের চিকিৎসার জন্য আর কলকাতার বাইরে যেতে হবে না। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ উপকৃত হবেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘Eye Bank ছিল না বলে মালদার বুকে চোখের কর্নিয়ার অপারেশন সম্ভব হচ্ছিল না। জেলার রোগীদের এই চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হত। অবশেষে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় এটা চালু করা সম্ভব হয়েছে। মালদা ছাড়াও পাশের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ এর সুবিধা পাবেন।’ Eye Bank তৈরি হওয়ার ফলে আরও কর্নিয়া পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী উত্তরবঙ্গের চক্ষু চিকিৎসকেরাও। সাধারণত কেউ মরোণত্তর চক্ষুদান করলে মৃত্যুর ৬ ঘণ্টার মধ্যে Eye Bank কর্তৃপক্ষ তা সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করে। মৃত্যুর ৬ ঘন্টার পর থেকে কিন্তু কার্ণিয়া নষ্ট হতে শুরু করে। তাই তার পর আর চোখ সংগ্রহ করা যায় না। মালদায় Eye Bank চালু হওয়ায় এই সমস্যা অবশ্য কিছুটা হলেও মিটবে।