পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক
নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচের পাহাড়পুরে বিপদজনক বাড়ি কলকাতা পুরসভা ভাঙ্গার কাজ শুরু করার পরেই সেখানে বাসিন্দারা বাধা দিতে শুরু করে। এ নিয়ে কলকাতা পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। পুলিশ গোটা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু ভাঙার কাজ চলাকালীন ওই বাড়ির মালিক হাইকোর্টের(High Court) ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে আবেদন জানান।আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে। এরপরই কলকাতা পুরসভা আদালতের পরবর্তী নির্দেশের জন্য ওই ভাঙ্গার কাজ আপাতত স্থগিত রাখে।কলকাতায় বেআইনি বাড়ি ইতিমধ্যেই নোটিশ দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
যাদেরকে নোটিশ দিয়ে হেয়ারিং- এ ডাকা হয়েছিল তাদের অনেকেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। কোর্ট যখন বিচার করে বিষয়টি দেখছে তখন সেখানে অহেতুক হস্তক্ষেপ করাটা উচিত নয়। বৃহস্পতিবার পার্ক সার্কাসে ইফতার পার্টির শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Mayor Firhad Hakim) । তিনি বলেন,আমরা কোর্টের উপর বিশ্বাসী। আমরা মনে করি আদালত সমস্ত দিক বিচার করে যথার্থ রায় দেবে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন জাস্টিস অশোক গাঙ্গুলিকে মেয়র ফোন করেন। সেই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন,জাস্টিস অশোক গাঙ্গুলী সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। উনি বৃহস্পতিবার একটা প্রেস কনফারেন্স করে বেআইনি বাড়ি নিয়ে তার বক্তব্য রাখছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমে তা দেখে আমি তাকে ফোন করি। অনেক বিষয় আছে যেগুলি হয়তো পাবলিকলি আলোচনা করা যায় না। জাস্টিস অশোক গাঙ্গুলি(Justice Asok Gangully) যে অভিযোগগুলি করছিলেন তার সাথে বর্তমান পুরো বোর্ডের অনেকাংশেই কোন সম্পর্ক নেই। তবু আমরা বলেছি আইন মেনে আইনের পথ ধরেই এই সমস্যার সমাধান করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের পর আগামী ৯ জুন প্রেস কনফারেন্স করে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব। এখন যেহেতু নির্বাচন আচরণবিধি চলছে তাই অনেক কিছুই বলা যাবে না বলে মেয়র জানান। তার মন্তব্য বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচের পাহাড়পুরে বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে যে ঝলক দেখলাম এর হাজার গুণ হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই যা কিছু হবে আইন মেনেই হবে। ফাঁকা অংশ আগে ভাঙা হবে। যেখানে মানুষ বাস করবে তাদেরকে সরিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।