অ্যাপের মাধ্যমে পুরসভা হকারদের মুখের ছবি মেলাবে, সব খালপাড় মুক্ত হবে : মেয়র
নিজস্ব প্রতিনিধি : আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বৈঠক করেছি। বৈঠকে সবাই ছিলেন ।পৌর দফতরের সচিব ছিলেন। আমরা সার্ভে শুরু করে দিয়েছি । গড়িয়াহাট থেকে সার্ভে শুরু করে দিয়েছে ।হাতিবাগান, নিউ মার্কেট সহ বিভিন্ন জয়গায় সার্ভে হবে। শুক্রবার কলকাতা পৌরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Mayor Firhad Hakim)। তিনি বলেন,খুঁটিয়ে দেখা হবে হকাররা আছেন কি না। একটা অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। জিপিএস লোকেশন কোথায় আছে সেটা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। গড়িয়াহাট এবং বেহালাতে মাল রাখার জায়গার খোঁজ হচ্ছে। হাতিবাগানে এখনও জায়গা পাওয়া যায়নি। আমরা কার পার্কিং এক মাস পর থেকে মেশিনের মাধ্যমে তুলব। আমরা ডিসপ্লে করে দেব কোথায় ফ্রি এবং কোনটা ফি পার্কিং আছে তার জন্য একটা বোর্ড লাগানো হবে। গড়িয়াহাট আমরা সরকারি একটা টেন্ডার করব।
শুক্রবারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একমাস পরে সার্ভে রিপোর্ট জমা দেব। আমরা কোথাযও হকার(Hawker) উচ্ছেদ করেনি। পুলিশ ও কোথায় উচ্ছেদ করেনি। হকারদের রেগুলারিজ করা হয়েছে। যেটা ভাঙ্গা হয়েছে সেটা সরকারি জমিতে বেআইনি ভাবে স্ট্রাকচার করা হয়েছে । সেটা ভাঙ্গা হয়েছে। ফুটপাত আমার অধিকার নয়। ফুটপাত সরকারি জায়গায়। সেটা আমার সম্পত্তি নয় ,যে আমি সেটা নিজের ছেলে কে দিয়ে যাব। এটাকে ভাড়া দেওয়ার আমার অধিকার নয়। যারা হকিং করছে শুধু তার অধিকার। চারটে ডালা, পাঁচটা ডালা লাগিয়ে রেখেছে। একটা আইন যেটা সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নির্দেশ রয়েছে। একটা হকার চলে যাবে তার জায়গায় নতুন হকার আসবে। আমাদের হকিং জোন , নো হকিং জোন এবং নিউট্রাল জোন আছে। আমাদের দেশে অর্থর সামাজিক উন্নয়ন হয়নি।
আমাদের দেশে যে ভাবে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ভাবা যায় না। আমাকে ফুটপাত দিয়েছে বলে আমি ফুটপাত দখল করার জন্য নয়। আমরা সেই সার্ভে করব যে কর্মচারী হকিং করবে তার দোকান হয়ে যাবে। সেটা কারোর বাবর সম্পত্তি নয়। যারা হকারকে ভাড়া দিচ্ছে সেটা বেআইনি। আমার ছবি তুলব। যে লোক থাকবে তাদের দোকান হবে। অ্যাপ আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। কেউ ডালা বিক্রি করতে পারবে না। সুপ্রিয় কোর্ট হাত বদলের অধিকার কাউকে দেয়নি। আমাদের টাউন ভেন্ডিং করবে সেটা তারা করবে। হকারদের কমিটিতে কাউন্সিলররা থাকবে না। শুধু হকাররা থাকবে। আমরা পরিদর্শন করে বলেছি ৩/৫ ফুট জায়গায় রেখে বাকিটা ছেড়ে দাও। সোমবার আমরা ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেব। যারা কষ্ট করে বসবে। খাটবে সেটা তার অধিকার। হকার ভাড়া দেওয়ার জন্য নয়। আমি ডালা বিক্রি করতে পারি না। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রী তার হস্তক্ষেপ সব কিছু হচ্ছে। আমি অনেকবার পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী(CM) হস্তক্ষেপ করেছেন সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। বাম আমলে সব একতরফা হয়েছে।
আমাদের সারা রাত ধরে আন্দোলন করতে হয়েছে। কি অত্যাচার করেছে সেটা আপনারা জানেন। আজকে কলকাতা যা সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা রাজ্যের সমস্ত জেলায় কার্যকরী করা হবে। একমাস আগেই ই পোস মেশিন দিয়ে দেব। আমাদের হাতে ম্যাজিক নেই। আমরা তিনিতে ইন্টারনেট একসাথে নিয়েছি। আগে নেট পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন সমস্যা হয়েছিল। মাল্টি লেভেল পার্কিংয়ের আমরা ব্যবস্থা করছি। যেখানে সরকারি জমি সমস্ত খালি হবে । আজ না কাল খালি করতেই হবে। কেউ ভাড়া দিতে পারবে না। সমস্ত খাল পাড় আমরা পরিষ্কার করে দেব বলে আশ্বাস দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অ্যাপ এর মাধ্যমে মুখ টা মেলানো হবে বলে জানান মেয়র ।