গরমে ছুটি কাটাতে ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ে’র কিছু চমৎকপ্রদ স্থানে
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রখর তাপে জ্বলছে গোটা দেশ। বাইরে কিংবা ঘরের মধ্যেও এই গরমে দম বেরিয়ে যাবার জোগাড়।গরমের ছুটি কাটাতে ভাবছেন কোথায় যাবেন! একবার ঘুরে আসতে পারেন ঠান্ডার আমেজে ভরপুর দার্জিলিং’য়ে। এই গরমে শীতের অনুভূতি পেতে প্ল্যান করতেই পারেন মনের মানুষের সঙ্গে দার্জিলিং যাবার।পাহাড়ের রানি বলা হয়ে থাকে এই দার্জিলিং’কে। বরাবরই সকলের প্রিয়স্থল এই জায়গা।
টাইগার হিল : এখানকার অপরুপ দৃশ্য সবার নজর কাড়বেই কাড়বে।দার্জিলিং থেকে দিগন্তে সূর্যোদয় দেখার মনোরম দৃশ্য না দেখলে চোখ জুড়োবে না।সূর্যের সুন্দর কমলা রঙ যেন মিলেমিশে এক হয়ে গেছে টাইগার হিলের চারপাশে। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রাজকীয় দৃশ্য বর্ননা করার নয়।
হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এবং দার্জিলিং চিড়িয়াখানা : চিড়িয়াখানাটি ‘দার্জিলিং চিড়িয়াখানা’ নামে পরিচিত।এখানে বাঘ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থল রয়েছে। আপনি যদি বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন তবে আপনি সাইবেরিয়ান বাঘের চারপাশে ঘোরাফেরা করতে পারেন যা একটি তুষার চিতাবাঘ। এটি শান্তভাবে ঘুমাচ্ছে।এছাড়াও লাল পান্ডাও দেখতে পাবেন। এছাড়াও সুন্দর প্রজাতির পাখিও দেখতে পাবেন।
রক গার্ডেন : এখানে দেখা যাবে,মেঘের লুকোচুরি খেলা।এক মুহুর্তে গাড়ির উইন্ডশীল্ডের সামনে মেঘলা এবং কুয়াশাচ্ছন্ন এবং পরের মুহুর্তে মেঘগুলি সরে যাবে। মনে হবে মেঘের একঝলক ভেলকি।
বাতাসিয়া লুপ : এটি দার্জিলিং থেকে প্রায় 5 কিমি দূরে অবস্থিত। এটি একটি সুসজ্জিত বাগানের চারপাশে একটি বৃত্তাকার রেলপথ। এটি ফুল এবং বিভিন্ন গাছপালা দিয়ে বিস্তৃত। এটি ঘূম স্টেশনের গোড়ায় রয়েছে।দার্জিলিং টয় ট্রেন এই ট্র্যাকে একটি লুপে চলে। এই টয় ট্রেনে উঠে মেঘের ভেলা ভেসে থাকতে দেখা যায়। ভুপ্রকৃতির সঙ্গে মৃদু বাঁক নেওয়াও সবুজ দৃশ্য একটি দর্শনীয় দৃশ্য।