১৫ ডিসেম্বর থেকে বাংলায় আবারও শুরু দুয়ারে সরকার কর্মসূচী
নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বাংলার(Bengal) বুকে বসতে চলেছে দুয়ারে সরকার(Duyare Sarkar) কর্মসূচী। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে এই কর্মসূচী শুরু হতে চলেছে। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগের মতই এবারও দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) বিভিন্ন আর্থসামাজিক প্রকল্প ও পরিষেবা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন রাজ্যের বাসিন্দারা। আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন(General Election 2024)। তার আগেই সম্ভবত এটাই শেষ দুয়ারে সরকারের শিবির হতে চলেছে। কোভিডের সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বাংলার মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের নানা আর্থসামাজিক প্রকল্প ও পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই কর্মসূচী শুরু করেছিলেন। এবার তার অষ্টম পর্যায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচী শুরু হচ্ছে তা চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আবেদন জমা নেওয়ার পর্ব। তারপর ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে আবেদনকারীদের। তবে, এর মাঝে রবিবার এবং ছুটির দিনে বন্ধ থাকবে এই শিবির। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন রাজ্যবাসী। এইবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বার্ধক্য ভাতা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবির বসেছিল রাজ্যে।
সেই সময় মোট ৩৫টি আলাদা আলাদা সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ৪টি নতুন পরিষেবা। সেগুলি হল ‘বার্ধক্য ভাতা’, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণ’, ‘উদ্যম পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণ’ এবং ‘হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের নাম তালিকাভুক্তিকরণ’। সপ্তম পর্যায়ের এই শিবিরের জন্য ১৭টি পৃথক নোডাল বিভাগ গঠন করা হয়েছিল। গোটা বিষয়টির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ৪১ সিনিয়র আইএএস অফিসার। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি রাজ্যে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। প্রথম ছয় পর্বে সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি মানুষের আবেদন করেন বিভিন্ন শিবিরে। তার মধ্যে আবেদনের ভিত্তিতে ৭.২০ কোটিরও বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। শেষ অর্থাৎ সপ্তম পর্বের দুয়ারে সরকারের জন্য স্থায়ী শিবিরের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ শিবিরের বন্দোবস্তও করা হয়েছিল। মূলত, যাতায়াতের অসুবিধা আছে, এমন জায়গাগুলির বাসিন্দাদের কথা ভেবে এই মোবাইল ক্যাম্পের ব্যবস্থা। মোট শিবিরের ৩৬ শতাংশ ছিল এই মোবাইল ক্যাম্প।