জব্দ করা রুশ সম্পত্তি থেকে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ জি-৭-এর
নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার ইতালিতে হয়ে গেল জি-৭ সম্মেলন। এ বছর জি-৭ সাম্মিট সম্মেলনের আয়োজক ছিল ইতালি। যেখানে একাধিক দেশের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্যে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন জি-৭ নেতারা। সেখানেই কথা হয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে এই অর্থ দেওয়া হবে ইউক্রেনকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, G-7 সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানিয়েছেন, 'আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি চলতি বছরের শেষ দিকে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আনুমানিক ৫০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছেছি।
জি-৭ দেশগুলো জব্দ করা রুশ সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে এ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।' জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার ৩২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে জি-৭ দেশগুলি। যার থেকে বছরে ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো সুদ পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, জাপান এবং যুক্তরাজ্যের নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ক একটি বিশেষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে আমন্ত্রিত করেছিলেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পত্তি থেকে ইউক্রেনকে এই অর্থের জোগান দেবে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো যে সকলেই ইউক্রেনের সঙ্গে আছেন, বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইতিমধ্যেই জি-৭ নেতাদের এমন কঠিন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে গতকাল G7 শীর্ষ সম্মেলনের আগে ইতালীয় পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে চরম হাতাহাতি কাণ্ড। ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছে ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার, যখন ইতালি পুগলিয়ায় বার্ষিক গ্রুপ অফ সেভেন (G7) শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরুর আগে। জানা গিয়েছে, একটি বিল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইনপ্রণেতারা। যার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুসারে, বিলে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। উগ্র ডানপন্থী সরকারের এহেন পরিকল্পনা নিয়ে ইতালীয় সংসদে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনাটি শুরু হয়, যখন ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (MS5) ডেপুটি লিওনার্দো ডোনো স্বায়ত্তশাসন-পন্থী নর্দান লিগের আঞ্চলিক বিষয়ক মন্ত্রী রবার্তো ক্যালডেরোলির গলায় একটি ইতালীয় পতাকা বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করেন।ডোনোর করা প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য ছিল, রোম থেকে সেই অঞ্চলগুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসন না দেওয়া।