For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

গঙ্গারামপুরে মোমবাতির চাহিদা, হাসি ফুটেছে মোমবাতি নির্মাতাকারীদের

09:32 PM Nov 08, 2023 IST | Subrata Roy
গঙ্গারামপুরে মোমবাতির চাহিদা  হাসি ফুটেছে মোমবাতি নির্মাতাকারীদের
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি,দক্ষিণ দিনাজপুর: হাতে গোনা মাত্র আর কয়েকদিন ।এরপরই আধার কাটিয়ে আলোর দেবীর উৎসবে মেতে উঠবে ৮ থেকে ৮০ সকলেই। ১২ নভেম্বর কালী পুজো। তার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপু(Gangarampur)র হাই স্কুল পাড়া এলাকায় মোমবাতি কারখানায় ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষজন। স্বাভাবিকভাবেই এবছর দীপাবলিতে মোমবাতির কদর বেড়েছে। মোমবাতির(Candel) চাহিদা দেখে দিনরাত কাজ করে চলেছেন গঙ্গারামপুরের মোমবাতি প্রস্তুতকারকরা।

Advertisement

বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছোনোর পাশাপাশি বাজারে টুনি বাল্ব চলে আসায় দীপাবলিতে মোমবাতির কদর যথেষ্টভাবে কমে যায়। ফলে চরম সমস্যায় পড়েন গঙ্গারামপুরের মোমবাতি প্রস্তুতকারকরা। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় বেশ কয়েকটি মোমবাতি তৈরির কারখানাও। হাতে কয়েকটি কারখানা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোনওমতে চলছিল। কিন্তু এবছর দীপাবলির আগে বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের ঝোঁক দেখা দেওয়ায় আশার আলো দেখছেন মোমবাতি নির্মাতারা। তাই দিনরাত এক করে মোমবাতি তৈরির কাজ চলছে গঙ্গারামপুরের বসাকপাড়ার,হাইস্কুলপাড়ার কারখানাগুলিতে। এই বিষয়ে ওই কারখানার এক মোমবাতি নির্মাতার দাবি, "কিছুটা হলেও পরিস্থিতি বদলেছে। তাই এবার দিপাবলিতে লাভের মুখ দেখতে পারেন বলে আশা করছেন তাঁরা"। এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর বসাকপাড়ার মোমবাতি কারখানার কর্ণধার তেজস কুমার বসাক জানান, " বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের বাজারে মোমবাতির তৈরীর প্যারাফিনের দাম বেড়েছে অনেক। যার ফলে মোমবাতির দামও কিছুটা অংশে বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement

প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের এখানে মোমবাতি প্রস্তুত করা হয়। সারা বছরই মোমবাতি তৈরি হয় তবে কালীপুজোর আগে আগে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে যথেষ্ট। দিন রাত এক করে নাওয়া খাওয়া ভুলে মোমবাতি তৈরির ব্যস্ততায় মেতে উঠেছে কর্মরত ২০ জন মোমবাতি নির্মাতাকারী। তিনি এ বিষয়ে আরো জানান, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ তিন জেলা অর্থাৎ উত্তর দিনাজপুর, মালদা সহ পুরো রাজ্যে গঙ্গারামপুরের এই মোমবাতি সাপ্লাই হয় ও বিক্রি হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের মোমবাতি আছে রঙিন মোমবাতি থেকে শুরু করে সাদা মোমবাতি ছোট বড় বিভিন্ন প্রকারের বিভিন্ন দামের মোমবাতি তৈরি করা হয়। দিনে মোট ২০০ পেটি মোমবাতি রোজ তৈরি করা হয় বলে জানান কর্ণধার তেজস কুমার বসাক। তিনি আরো জানান, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের বাজারে বিদেশী পণ্যের ভিড়েও মানুষ মোমবাতির দিকে ঝুঁকছে কালীপুজোর(Kali Pujo) আগে তাই আমাদের কারখানায় মোমবাতি তৈরীর ব্যস্ততা চলছে যথেষ্ট তুঙ্গে, সারাবছর লাভের আশা খুব একটা না থাকলেও এবছর লক্ষীর ভার পূর্ণ হবে বলে আশায় বুক বাঁধছে মোমবাতি নির্মাতাকারীরা।

আর যে কারণে মুখে হাসি ফুটেছে মোমবাতি কারখানার কর্ণধর সহ নির্মাতা কারীদের। গঙ্গারামপুর শহরের হাই স্কুল পাড়া বসাকপাড়া এলাকাতে এ বছর মোমবাতির যথেষ্ট চাহিদা থাকায় কালী পুজোর আগে মুখে হাসি ফুটেছে, মোমবাতি কারখানার নির্মাতা কারীদের। বলাই বাহুল্য, আধার কাটিয়ে আলোর উৎসবে এই মোমবাতি নিয়েই মেতে উঠবে আট থেকে ৮০ সকল মানুষ সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসি।

Advertisement
Tags :
Advertisement