OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

পিজি হাসপাতাল চত্বর থেকে নিখোঁজ কুমারগঞ্জের যুবতী

07:29 PM Feb 12, 2024 IST | Subrata Roy

নিজস্ব প্রতিনিধি,দক্ষিণ দিনাজপুর: পরিবারের একমাত্র মেয়ে ১মাস ধরে নিরুদ্দেশ। মেয়ের আশায় দিনরাত কান্না এখন মা - বাবার সঙ্গী। কলেজে যাবার নাম করে গিয়ে আর ফেরেনি বর্ণীতা বর্মন নামে এক যুবতী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থানার ভোলানাথপুর এলাকায়।এ বিষয়ে কুমারগঞ্জ থানায়(Kumarganj P.S.) মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রশাসন এই ব্যাপারে তেমন কোন খোঁজ খবর করে উঠতে পারেননি। এ বিষয়ে মেয়েটির পরিবার জানান, প্রশান্ত মুর্মু নামে এক যুবকের উপর সন্দেহ রয়েছে তাঁদের এবং তাদের মেয়ে ওই ছেলের সাথেই যে কোথাও গেছে তারা নিশ্চিত সেই বিষয়ে এবং তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যথেষ্ট। জানা গিয়েছে, মেয়েটির বয়স ১৯ আর ছেলের বয়স ২২। মেয়েটির এবং ছেলেটির বাড়ি পাশাপাশি তারা প্রতিবেশি।

মেয়েটি কলেজে ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী। ছেলেটিও সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র। ছেলেটি আদিবাসী ও মেয়েটি রাজবংশী সম্প্রদায়ের। ছেলেটির নাম প্রশান্ত মুর্মু আর মেয়েটির নাম বর্ণিতা বর্মন(Banita Barman)। উল্লেখ্য, গতমাসের ১০ই জানুয়ারী মেয়েটি দুপুর ১২টার সময়ে কলেজ জুতো ফেরত দেবার নাম করেই বাড়ির বাইরে বেরোলে তার পর আর বাড়ি ফেরেনি। বেরোনোর সময় মেয়েটি তার সমস্ত ডকুমেন্টস সাথে করে নিয়ে যাই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর ১মাস হয়ে গেল মেয়েটি ও ছেলেটি দুজনেই নিখোঁজ। সূত্রের খবর মেয়েটি এনসিসি(NCC) করতো এবং ফুটবল খেলায় মেয়েটির ভালোই দক্ষতা রয়েছে। মেয়েটির বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন তিনি উত্তর প্রদেশের একটি ভালো সংস্থায় কাজ করেন। মেয়েটির বাড়িতে এই প্রশান্ত মুর্মু নামক ছেলেটির ভালোই যাতায়াত ছিল। মেয়ে নিখোঁজ হবার দিন কয়েকের মধ্যে জানা যায় যে ছেলেটি মেয়েটিকে একপ্রকার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। কারণ যেদিন থেকে মেয়েটি নিখোঁজ হয় সেদিন থেকে ছেলেটিও নিখোঁজ হয়। মেয়েটির বাড়ির লোক পরে অনেক প্রমাণ পেয়েছেন এবং তারা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ও করেছেন। থানায় ডায়েরি করলে পুলিশি তৎপরতায় মেয়েটির নম্বর ট্র্যাক করে জানা যায় যে ছেলেটি ও মেয়েটি প্রথমে গঙ্গারামপুর-এ(Ganarampur) মিলিত হয়, তারপর মেয়েটির লাস্ট লোকেশন দেখায় এসএসকেএম হাসপাতাল কলকাতায়।

তারপর থেকে মেয়েটির ফোন সুইচ অফ। মেয়েটির কোনো হদিস এখনো অবধি মেলেনি। তবে বিভিন্ন প্রশাসনিক মাধ্যম থেকে জানা গেছে যে ছেলেটি তার আধার কার্ড(Adhar Card) দিয়ে ৫টি সিম ব্যবহার করছে। আরও জানা গিয়েছে, ছেলেটি যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় মেয়েটির বাড়ির লোকের দাবি যে মেয়েটিকে অবিলম্বে ফিরিয়ে আনা হোক। রীতিমতো মেয়েটির বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এবং সাংবাদিক ও প্রশাসনের কাছে কাতর আর্তি জানিয়েছেন। যাতে ছেলেটির কঠোর শাস্তি হয়। ছেলেটি মেয়েটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলেই দাবি করেছেন মেয়ের পরিবারের।তাই এখন শুধুমাত্র ঘরে মেয়ের ফেরার অপেক্ষায় কান্নায় শুধুমাত্র সঙ্গী বাবা-মায়ের।

Tags :
Gangarampur College Student MissingGangarampur Missing Incident
Next Article