For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

গাজায় এক ফুড ব্লগার ধ্বংসস্তুপের মধ্যেও বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য খাবার বানাচ্ছে

01:53 PM Jun 21, 2024 IST | Reshmi Khatun
গাজায় এক ফুড ব্লগার ধ্বংসস্তুপের মধ্যেও বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য খাবার বানাচ্ছে
courtesy google
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইজারায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রক্তাক্ত হচ্ছে গাজার মাটি। এমতাবস্থায় ৩২ বছর বয়সী এক ফুড ব্লগার হামাদা শাকোরা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করেছেন গাজায় বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য। তিনি শিশুদের জন্য অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে সামাজিক মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।

Advertisement

ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ডের একটি শহর হল খান ইউনিস। যা বর্তমানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই ধ্বংসপ্রায় ইউনিস শহরের গাজানে একটি টেবিল পেতেছেন ফুড ব্লগার হামাদা। সেখানে তিনি শরণার্থী শিবিরের শিশুদের জন্য খাবার বানাচ্ছেন। যদিও তাঁর কাছে খাবারের পরিমাণ অনেকটা কমে এসেছে। তবুও তাঁর কাছে যতটুকু সম্বল আছে তাই দিয়ে খাবার তৈরি করছেন।

Advertisement

হামাদার ফুড ব্লগিং শুরু হয়েছিল গাজার বিরাট বাজারে। যেখানে মানুষের সর্বদা কোলাহল লেগেই থাকতে। প্রতিদিন নিত্য গ্রাহক ও বিক্রেতার ভিড়ে জমজমাট হত গাজার বাজার। সেখানে তিনি ক্যাফে এবং দোকানগুলিতে ব্লগিং করতেন। যা সামাজিক মাধ্যমে নজর কেড়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের। মুলত তাঁর ভিডিয়োতে গাজার রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্য দেখানো হত।

গাজা এখন তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে। শিশুরা অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এইসময় হামাদের এই প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে নেট নাগরিকদের। তিনি যেভাবে ধ্বংসাবশেষর মধ্যেও অভুক্ত শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য রান্না করছেন তাতে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। এই বিষয়ে তিনি জানান, তিনি যে খাবার তৈরি করেন তা সম্পূর্ণরূপে পুষ্টিকর নয়। কারণ সেখানে পুষ্টির উপাদানের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।তবে শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে তিনি চেষ্টা করছেন যাতে খাবারে পুষ্টিকর উপাদান থাকে।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানান যে, তিনি যখন ব্লগ শুরু করেছিলেন তখন তিনি রান্নার মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন যে, গাজার কাছে এটাও একটা ঐতিহ্য। আরও জানান তিনি,৭ অক্টোবরের পর বদলে গেল এক ঝটকায়।এরপর থেকে বাজারে খাবারের অভাব হতে শুরু করে। রান্নায় প্রয়োজনীয় উপকরণ পাওয়া যায় না। তবুও তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দিতে।

উল্লেখ্য, গাজায় শিশুদের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানিয়েছিল চিকিৎসার এবং পুষ্টির অভাবে প্রাণসংশয় রয়েছে ৮০০০ শিশুর। এদের সকলেরই বয়স পাঁচ বছর বা তার কম। জাতিসংঘ আগেই জানিয়েছিল গাজায় এখন সুস্থ, স্বাভাবিক ওজনের শিশু জন্ম নিচ্ছে না। হু হু করে বাড়ছে নবজাতকের মৃত্যু। গাজার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এসব মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অপুষ্টি, জলশূন্যতা, এবং স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা।

Advertisement
Tags :
Advertisement