ইভিএম নিয়ে RTI-এর জবাব না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা তথ্য কমিশনের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের জমানায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমশই তলানিতে পৌঁছেছে। ‘সন্দেহজনক’ হয়ে উঠছে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের ভূমিকা। এবার ‘সন্দেহজনক’ ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে দায়ের করা আবেদনের জবাব না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করল তথ্য কমিশন। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার ভূমিকায় এতটাই চটেছে তথ্য কমিশন যে আরটিআইয়ের জবাব না দেওয়াকে ‘আইন ভঙ্গের’ সামিল হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। শুধু তাই নয় ওই কর্মের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কৈফিয়ৎও তলব করেছে।
ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছেন কারিগরিও ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। আইআইটি, আইআইএম-সহ দেশেরত একাধিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষক-অধ্যাপকরা দাবি করে চলেছেন, ‘ইভিএম ও ভিভিপ্যাট সুরক্ষিত নয়। জালিয়াতির সাহায্যে ফলাফল বদলে দেওয়া সম্ভব।’ ইভিএম ও ভিভিপ্যাটে যে ত্রুটি রয়েছে সে সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণও হাজির করেছেন তাঁরা। যদিও সেই দাবি মানতে চাননি নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেই সঙ্গে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটে ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার সুযোগও দিতে চাননি অভিযোগকারীদের।
২০২২ সালের ২২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে একাধিক তথ্য জানতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন আমলা এম জি দেবসহায়ম। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে ওই আরটিআইয়ের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। অড়ছ তথ্য অধিকার আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘কোনও তথ্য জানতে চাওয়ার আবেদন জানানো হলে ৩০ দিনের মধ্যেই জবাব দিতে হবে।’ নির্বাচন কমিশন তাঁর আরটিআইয়ের জবাবে নির্বিকল্প সমাধিতে চলে যাওয়ায় ফের তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দেবসহায়ম। আর ওই আর্জির পরেই নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেছে তথ্য কমিশন। নির্বাচন কমিশনের আচরণকে সম্পূর্ণ আইন ভঙ্গ হিসাবে আখ্যা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।