ফের গা-জোয়ারি তামিলনাডুর রাজ্যপালের, মন্ত্রী পদে পনমুড়িকে শপথ পাঠ করাতে অস্বীকার
নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: কথায় বলে, ‘স্বভাব যায় না ম’লে।’ তেমনই দশা তামিলনাডুর রাজ্যপাল তথা ‘বিজেপির একনিষ্ঠ ভক্ত’ আর এন রবির। এর এগে বিল আটকে রাখায় শীর্ষ আদালতের চরম তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। কিন্তু তাতেও স্বভাব বিন্দুমাত্র বদলায়নি। ফের ‘গা-জোয়ারি’ মনোভাব দেখালেন। সুপ্রিম কোর্ট শাস্তি স্থগিত করা সত্বেও ডিএমকে বিধায়ক কে পনমুড়িকে মন্ত্রী পদে শপথবাক্য পাঠ করাতে অস্বীকার করেছেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, পনমৌড়িকে মন্ত্রী পদে শপথ বাক্য পাঠ করাতে অস্বীকার করে দেশের শীর্ষ আদালতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন তামিলনাডুর রাজ্যপাল। সাংবিধানিক পদে বসার জন্য তিনি যে কতটা অযোগ্য, তা ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাডুর ডিএমকে সরকার।
আয় বহির্ভূত সম্পত্তির দায়ে তামিলনাডুর নিম্ন আদালত ৪ বছরের জন্য জেলের সাজা শুনিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কে পনমুড়ি ও তাঁর স্ত্রীকে। ফলে বিধায়ক ও মন্ত্রী পদ খোয়ান পনমুড়ি। ওই রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএমকে নেতা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নাড়েন। গত ১১ মার্চ শীর্ষ আদালত পনমুড়ির শাস্তি স্থগিত রাখে। ফলে ফের বিধায়ক পদ ফিরে পান তিনি।
এর পরেই পনমুড়িকে ফের রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ মানতে অস্বীকার করেন রাজ্যপাল আরএন রবি। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, কাকে মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের শাসকদের ‘পোষ্য ভৃত্য’ রাজ্যপালের কোনও এক্তিয়ারই নেই শপথবাক্য পাঠ করানোর প্রস্তাব খারিজ করা। ডিএমকে’র অভিযোগ, রাজ্যপাল আরএন রবি ভুলে গিয়েছেন, তিনি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। বিজেপি কর্মীর পরিচয় এখনও ভুলতে পারেননি। তাই বিজেপি এজেন্টের মতোই আচরণ করে চলেছেন।