তৃণমূলের সাংসদ হতেই ইউসুফকে হেনস্থা শুরু গুজরাতে
নিজস্ব প্রতিনিধি: মেরেছো কলসির কানা, তা বলে কী প্রেম দেব না! তো প্রেমের বন্যা ধেয়ে এসেছে তৃণমূলের সাংসদ(TMC MP) ইউসুফ পাঠানের(Yousuf Pathan) দিকে। জমি দখলের অভিযোগে গুজরাতের(Gujrat) বরোদা পুর কর্তৃপক্ষ(Vadodara Municipal Corporation) নোটিস পাঠিয়েছে ইউসুফ পাঠানকে যিনি কিনে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ৫ বারের সাংসদ তথা ‘বিজেপি বান্ধব’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে(Adhir Ranjan Chowdhury) পরাস্ত করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই ইউসুফকে জমি দখলের অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠানোর ঘটনাকে স্বাভাবিক হিসাবে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেসও। কার্যত জোড়াফুল শিবিরের সকলের একবাক্যে দাবি, যা হচ্ছে তা আদতে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে পদ্মবন্ধু অধীরকে হারানোর কারণেই এখন তাঁকে পাল্টা হেনস্থা করা শুরু করেছে বিজেপি(BJP)।
কী নিয়ে বিতর্ক? বরোদা পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পাঠান তাঁর বাড়ির লাগোয়া একটি প্লটের জমি বেআইনিভাবে দখল করে পাঁচিল তুলেছেন। এই বরোদা শহরেরই বাসিন্দা পাঠান। তৃণমূলের দাবি, পাঠানকে যে ইচ্ছাকৃত ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তার সব থেকে বড় প্রমাণ, নোটিস পাঠানো হয়েছে ইউসুফ সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে। তার আগে নয়। গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। আর ৬ জুন বরোদা পুর কর্তৃপক্ষ পাঠানকে নোটিস পাঠিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পাঠান বরোদা পুরসভার জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করছেন। বেআইনিভাবে জমিতে দেওয়ালও তুলেছেন। যদিও ওই পুরসভার স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলরের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এই নোটিসটি দেওয়া হয়নি। জমিটি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের।
জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বরোদার তানাদালজা এলাকার ওই জমিটি কেনেন ইউসুফ পাঠান। তার লাগোয়া যে জমিটি, সেটিও কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু জমিটি পুরসভার। কিন্তু পুরসভার তরফে পাঠানের এই জমি কেনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে পুর বৈঠকে পাঠানের জমি কেনার প্রস্তাব পাশ হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এর পরই জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা করেন পাঠান। পুরসভার ওই জমিতে পাঁচিলও তুলে দিয়েছেন তিনি। পুরসভার তরফেও জানানো হয়েছে, জমি জবরদখলের জন্য ইউসুফ পাঠানকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও জোরাল। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন বাদে হঠাৎ কেন এই জমি মামলায় নোটিস দেওয়া হল? সেই উত্তর অবশ্য মেলেনি।