হরিহরপাড়ায় ৩৫ টি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, এলাকায় উত্তেজনা
নিজস্ব প্রতিনিধি ,মালদা ও মুর্শিদাবাদ:প্রায় ৩৫ টি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ স্থানীয়দের একঅংশের হরিহরপাড়ায়। শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার(Hariharpara P.S.) চোয়াবাজার এলাকার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য। ওভারলোড করে বেপোরোয়া ভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীদের এক অংশের। এদিন এই অভিযোগে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখায়।এলাকাবাসীদের অভিযোগ ওভার লোড করে ট্রাক্টরের টলীতে করে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় মাটি পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার।মাটি পড়ে উড়ছে ধুলো আর তাতেই পথ চলতি থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখও মুখে পড়ে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
মাটিকাটা বন্ধ করা হোক বলে দাবি করেন গ্রামবাসীরা। প্রায় ৩৫টি ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। জানা যায় প্রায় দুমাস ধরে হরিহরপাড়া চোয়া বিলপাড়া থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক ইটভাটায়। বারংবার ভাটা মালিকদের বলেও কোন সূরাহা হয়নি । সেই কারণে শনিবার রাস্তা আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। চুয়া বাজার এলাকায় রাস্তার উপর বেঞ্চ পেতে বিক্ষোভ দেখায়। অন্যদিকে,মালদাতে দিনের বেলায় অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ভিঙ্গল গ্রামে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামলেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক।স্থানীয়দের বক্তব্য চারদিন ধরে ভিঙ্গল গ্রামে আর্থমুভার দিয়ে আবাদি জমি কেটে অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল।খবর পেয়ে শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিএলএলআরও ভিক্টর সাহা।
সেখানে গিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেন তিনি।সেইসঙ্গে পুকুরের মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়(Harishchandrapur P.S.) অভিযোগও দায়ের করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ভিঙ্গলের বাসিন্দা গৌর প্রামাণিক তাঁর আবাদি জমি কেটে অবৈধভাবে নিজের পুকুর ভরাট করছিলেন স্থানীয়দের অভিযোগ গৌর ২ ফুট করে মাটি কাটার অনুমতি পেলেও ৭-৮ ফুট গর্ত করে সেই মাটি পুকুরে এনে ভরাট করছিলেন।ভূমি দপ্তরের কর্তারা গ্রামে যেতেই গা ঢাকা দিয়েছেন গৌর।গৌরের পক্ষে মাটি ব্যবসায়ী চঞ্চল রক্ষিত বলেন আমাদের কাছে পাঁচ ফুট গর্ত করে মাটি কাটার অনুমতি রয়েছে।বিএলএলআরও বলেন পুকুর ভরাট পুরোপুরি বেআইনি।আমরা পুকুর ভরাটের অনুমতি দিই না।দুই ফুট গর্ত করে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।তার বেশি মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগে গৌর ও চঞ্চলের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।