উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে রীতিমত চিন্তিত পরীক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিনিধি,হরিশ্চন্দ্রপুর: পরীক্ষার আগে উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট না পেয়ে অথৈ জলে এক পরীক্ষার্থী। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার হুমকি।আর মাত্র ছয় দিন পরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা(H.S. Exam)।ইতিমধ্যেই প্রত্যেক স্কুল থেকে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ ওই পরীক্ষার্থীর পরিবার। অভিযোগ ওই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এসেছে।উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাও(H,S. Test Exam)দিয়ে ছিলেন তিনি।পরবর্তীতে নির্দিষ্ট তারিখে ফর্ম ফিলাপ করে ছিলেন অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে।
কিন্তু সকলে অ্যাডমিট কার্ড(Admit Card) পেলেও ওই পরীক্ষার্থী পাননি। প্রধান শিক্ষককে বলতে গেলে তিনি দাবি করছেন ওই পরীক্ষার্থী না কি ফর্ম ফিলাপ করেনি। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির জন্য এমনটা হয়েছে।এদিকে এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে অপরাধী বলে তোপ দাগলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুরের(Bhowipur) ঘটনা।কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিপি স্বর্ণকার। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। লিপিও পরীক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়ে গেছিলেন। টেস্ট পরীক্ষাও দিয়ে ছিলেন। ফলাফল ভালো হয়েছিল। পরবর্তীতে পরীক্ষার জন্য অন্যান্য বান্ধবীদের সঙ্গে স্কুলে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ফর্ম ফিলাপ করেন লিপি।কিন্তু কিছু দিন আগে যখন এডমিট কার্ড দেওয়া হলো।প্রত্যেকে পেলেও লিপি অ্যাডমিট কার্ড পান নি। প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন লিপি না কি ফর্ম ফিলাপ করেনি। তারপর থেকেই চরম হতাশায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই পরীক্ষার্থী।
তার অভিযোগ মানসিক অবসাদে তিনি যদি আত্মহত্যা করেন তার দায় থাকবে প্রধান শিক্ষকের। লিপির মা কাজল স্বর্ণকার ওই স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনি।বাবা শিবু স্বর্ণকার দিনমজুর। অত্যন্ত কষ্ট করে লেখাপড়া করান মেয়েকে। জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষার আগে প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে মেয়ের এই সমস্যায় ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পরিবারের লোকেরাও। সমস্যা সমাধানের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। আবেদন করেছেন জেলা শাসককেও। পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধী বলে তোপ দেগেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ সাহা। প্রশাসনকে আবেদন করেছেন যাতে ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে।