হাথরসের পদপিষ্টের দায় সমাজবিরোধীদের কাঁধে চাপালেন ‘ভোলে বাবা’
নিজস্ব প্রতিনিধি, মৈনপুরী: তাঁর চরণধুলো নিতে গিয়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন পূণ্য লোভাতুররা। হুড়োহুড়িতে পায়ের তলায় চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২২ জন পুণ্যার্থী। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা গোটা দেশবাসীকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। পদপিষ্টের ২৪ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরে অবশেষে মুখ খুলেছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’ ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করার পাশাপাশি ঘটনার দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে সমাজবিরোধীদের কাঁধে চাপিয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার হাথরসের রতিভানপুরে বিশেষ সৎ সঙ্গের আয়োজন করেছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’ ওরফে নারায়ণ সাকার হরির অনুসারীরা। সকাল ১১টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলে। ‘ভোলে বাবা’ অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার পরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১২২ জন। ওই মর্মান্তিক ঘটনা দেশবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশের তরফে পদপিষ্টের ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু ওই এফআইআরে ‘ভোলে বাবা’ নারায়ণ সাকার হরির নাম না থাকায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পদপিষ্টের ঘটনার ২৪ ঘন্টা বাদে অবশ্য মুখ খুলেছেন স্বঘোষিত ‘ভোলে বাবা’। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি তিনি। লিখিত বিবৃতি জারি করেছেন। ওই বিবৃতিতে নারায়ণ সাকার হরি বলেছেন, ‘আমি আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে এসেছিলাম। যে ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে কিছু সমাজবিরোধীর হাত রয়েছে। ওই সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ পি সিং’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। আর যারা আহত হয়েছেন তাঁরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তার জন্য পরামাত্মার কাছে বিশেষ প্রার্থনা জানাচ্ছি।’