For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

টাকার লোভে প্রেমিককে খুন, পাকড়াও প্রেমিকা

৫১ বছর বয়সী স্টিভেন এডওয়ার্ড রাইলির দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ছিলেন কেনোয়ার। কিন্তু তিনি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। রাইলি বিশ্বাস করতেন, তিনি সম্প্রতি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
12:24 PM Jun 01, 2024 IST | Susmita
টাকার লোভে প্রেমিককে খুন  পাকড়াও প্রেমিকা
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: শত কোটির মালিক প্রেমিক, সেই লোভেই তাঁর সঙ্গে প্রেম প্রেম খেলা, শেষে প্রেমিককে বিষ খাইয়ে হত্যা। কিন্তু শেষে দেখা গেল, সবটাই ভুয়ো। প্রেমিকের ফুটো কড়িও নেই। কোনও সম্পত্তি নেই তাঁর। প্রেমিকার এ কূলও গেল, ও কূলও গেল! আসলে যুবক বিশ্বাস করতেন, তিনি ৩৫২ কোটি টাকার মালিক। আর প্রেমিকের এমন সম্পত্তির কথা বিশ্বাসও করতেন তাঁর প্রেমিকাও। কিন্তু একসময় যুবকটির মন উঠে যায়, এবং তিনি নিজেই সম্পর্কে ইতি টানতে চান। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, তাই প্রেমিকাও নাছোড়বান্দা। তারপর আবার প্রেমিক কোটিপতি, এই সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায়।! তাই যুবতী ভাবেন, যদি প্রেমিকাকে মেরে ফেলা যায়, তাহলে তার বিপুল সম্পদের ভাগ পাওয়া যাবে।

Advertisement

সেই লোভে প্রেমিককে বিষ খাইয়ে হত্যা করেন প্রেমিকা। কিন্তু শেষমেষ আশায় গুঁড়েবালি! তদন্তে বেরিয়ে আসে, নিহত যুবকের কোনও সম্পত্তি নেই, আর থাকলেও তার ভাগ পেতেন না ওই রমণী। কারণ, তিনি যুবকের স্ত্রী ছিলেন না, তাই যুবকের সম্পত্তি পাওয়ার অধিকারীও তিনি ছিলেন না। গত বুধবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্ত প্রেমিকা যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটায়টের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিপল ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই নারীর নাম ইনা থিয়া কেনোয়ার। তাঁর বয়স চল্লিশেরও অধিক। প্রেমিককে হত্যার জন্য গত বুধবার (২৯ মে) তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আর তাঁকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে।

Advertisement

গ্রেফতারি নথিতে জানা গিয়েছে, ৫১ বছর বয়সী স্টিভেন এডওয়ার্ড রাইলির দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ছিলেন কেনোয়ার। কিন্তু তিনি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। রাইলি বিশ্বাস করতেন, তিনি সম্প্রতি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই গত সেপ্টেম্বরে বন্ধুদের নিয়ে একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বন্ধুরা ভাবেন মদ খেয়ে তার শরীর খারাপ হয়। কিন্তু তাঁর রক্তে মদের কোনও চিহ্ন মেলেনি। ওই সময় কেনোয়ার বলেন, রাইলির হিট স্ট্রোক হয়েছে। বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে তিনি। কিন্তু পরে পুলিশ রাইলির বাড়িতে তদন্তে গিয়ে একটি বিয়ারের বোতল ও প্লাস্টিকের মগে সবুজ রঙের তরল খুঁজে পান। পুলিশের অনুমান, ওই তরল ছিল অ্যান্টিফ্রিজ, যা গাড়ির ইঞ্জিনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটাই রাইলিকে খাওয়ানো হয়। কারণ রাইলির মরদেহ পরীক্ষা করে ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া যায়।

কিন্তু কেনোয়ার বরাবরই দাবি করছিলেন, তার প্রেমিক সারাদিন মদ্যপান করায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমনকি কেনোয়ার নিজেকে রাইলির কমন-ল (অনানুষ্ঠানিক বিয়ে) স্ত্রী বলেও দাবি করেন। কিন্তু যখন তদন্তকারীরা জানান, তিনি রাইলির কমন-ল স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন না, এবং তাঁর কোনও সম্পত্তিও নেই। তখনই কেনোয়ার স্বীকার করেন যে, আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে প্রেমিকের চায়ের মধ্যে অ্যান্টিফ্রিজ মিশিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement