শীতের রোদ গায়ে মাখা কতটা উপকারী?
নিজস্ব প্রতিনিধি: শীতের পড়তেই শরীরের আলস্যতা শুরু। শরীর শুকনো হয়ে যাওয়ার শুরু। পা ফাটা থেকে শুরু করে ঠোঁট ফাটা, সবটাই শীতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। বিশেষ করে, শীত মানে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে যেমন প্রাণ চঞ্চল হয়ে ওঠে তেমনি শীতে শরীর সর্বদা ম্যাজ ম্যাজ হয়ে থাকে। তবে শীতে সকালে গায়ে রোদে লাগানোর মজাই আলাদা। খুব ঠান্ডা পড়লে বাড়ির বড়দের শিশুদের নিয়ে এভাবে ছাদে বা বাড়ির উঠোনে চলে যান রোদ পোহাতে, এই রীতি বেশ পুরনো। জানেন কী, শীতে রোদ পোহালে আর কী কী হতে পারে?
বাতের ব্যথা কমাতে শীতে রোদ পোহানোর পদ্ধতি অনেক কার্যকর। তবে বর্তমান সময়ে এই চিত্র বদলে গেছে অনেকটাই। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এমন দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়।ইট বালির শহরে মানব শরীরে সূর্যালোকের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। অথচ মন ভালো থেকে শুরু করে হরমোনের ক্ষরণ, উৎপাদনের পিছনেও রোদ এবং অন্ধকারের আলাদা ভূমিকা রয়েছে। কারণ পর্যাপ্ত রোদ গায়ে না লাগলে ‘সেরোটোনিন’ হরমোনের মাত্রা কমে যায়, তাতে মানসিক চাপ, অবসাদের মাত্রা বেড়ে যায়। অনিদ্রাজনিত সমস্যাতেও রোদের ভূমিকা রয়েছে।
রেটিনার মাধ্যমে সূর্যালোক শরীরে প্রবেশ করে। মস্তিষ্ক সেই সঙ্কেত পেলে ‘সেরোটোনিন’হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। তাই মানসিক অবসাদ কাটানোর জন্যে ‘লাইট থেরাপি’ বা ‘ফোটোথেরাপি’র বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া সকালের রোদ গায়ে এসে পড়লে দেহ নিজস্ব ঘড়ি মেনে সার্কাডিয়ান ছন্দে কাজ শুরু করে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বাড়িয়ে তোলা ছাড়াও মন ভাল রাখার ‘সেরোটোনিন’ হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।