ইজরায়েলে সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা হিজবুল্লাহর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :আবারও ইজরায়েলের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।এই সংগঠনটি রবিবার(২৩ই জুন)জানিয়েছে, তাঁরা ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। হামলা চালানোর কারণ ও ব্যাখা করেন তাঁরা। তাঁরা জানান, হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলে।
শনিবার (২২ জুন) জামা ইসলামিয়া গ্রুপ তাঁদের কমান্ডার আয়মান গোতমেহের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে। লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা এলাকার খিয়ারায় অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছে হিজবুল্লাহ। যদিও ইজরায়েল দাবি করেছে যে, হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী ছিলেন আয়মান গোতমেহের।
তাঁদের কমান্ডার হত্যার দায়ে তাঁরা ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলে। এই ঘটনা নিয়ে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, লেবানন থেকে একটি ড্রোন বেইত হিলেল এলাকায় আঘাত হানলেও এই ঘটনায় কারো আহত হয় নি।
যদিও হিজবুল্লাহ কড়া সতর্কতা করেছেন ইজরায়েলকে। শুক্রবার(২১ জুন) ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইজরায়েলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে ও লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। ইজরায়েল যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে তা হলে অবশ্যই ভুল করবে ইজরায়েল। এই যুদ্ধে তাঁদের পরাজয় নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, ইরানের নেতারা বারবার করে দাবি করে আসছেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নির্দেশনা তাঁরা দেননি, এই হামলার সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানতেনও না। এর কারণ হলো, ইরান চায় না ইজরায়েল ও তার মিত্ররা ইরানকে লক্ষ্যবস্তু বানাক। ইরানের প্রধান স্বার্থ হচ্ছে আত্মরক্ষা এটাও ইঙ্গিত দিয়েছিল ইরান। তবুও ইজরায়েল তাঁদের উপরও হামলা চালিয়েছিল। এর ফলে ক্ষোভ বাড়তে থাকে তাঁদের। যদিও হিজবুল্লাহর বার্তা স্পষ্ট যে যেদিন গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হবে সেইদিনে দক্ষিণ লেবাননে লড়াই বন্ধ হবে। ধীরে ধীরে হিজবু্ল্লাহ ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছোতে পারে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।