‘আধার তথ্য’ ফাঁস কীভাবে, মোদি-শাহের জবাব চাইল তৃণমূল
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ৮১ কোটি ভারতবাসীর(Indian) ‘আধার তথ্য’(Aadhar Information) এখন বিক্রির মুখে। ডার্কওয়েবে(Dark Web) রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে চলছে নিলাম। দর হাঁকা হয়েছে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকার সমান। চলতি মাসের শুরুতেই মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা Resecurity Hunter Unit’র নজরে এসেছে সেই বিজ্ঞাপন। সেখানে সাইবার দুষ্কৃতীরা সাফ জানিয়েছে, এটি কোভিডকালে হওয়া কোভিড পরীক্ষার সময় নথিবদ্ধ করা তথ্যভাণ্ডার। দেশের শীর্ষ চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা Indian Council of Medical Research বা ICMR’র সার্ভার থেকেই তা চুরি করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম বেকায়দায় পড়েছে মোদি সরকার। আর এবার সেই চাপের মধ্যেই এই ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়েই মঙ্গলবার ট্যুইট করে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও অমিত শাহের(Amit Shah) কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল(TMC)।
জানা গিয়েছে কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষার তথ্য National Informatics Centre, ICMR ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হাতে ছিল। কাদের গাফিলতিতে তা ফাঁস হল, সেটা নিয়ে তোলপাড় এখন দেশজুড়ে। ডার্কওয়েবেই নিলামে তোলা হয়েছে সাড়ে ৮১ কোটি ভারতবাসীর তথ্য সেখানে তাঁদের নাম, ফোন, আধার, পাসপোর্ট নম্বরের মতো সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। Resecurity Hunter Unit জানিয়েছে, গত ৯ অক্টোবর ডার্কওয়েবে ‘পিডবলুএন০০০১’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই আধার তথ্যের নিলামের জন্য একাধিক পোস্ট করেছে ওই সাইবার দুষ্কৃতীরা। সেখানে ফাঁস হওয়া তথ্যের ৪টি নমুনা ‘স্প্রেড শিট’-এর আকারে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। প্রতিটিতে ১ লক্ষ ভারতীয়ের তথ্য রয়েছে। সেগুলি ‘আসল’। গোটা ঘটনায় তথ্য সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর সাইবার হামলায় প্রায় এক সপ্তাহ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল Delhi AIIMS হাসপাতালের পরিষেবা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বারবার সাইবার হানার মুখে পড়েছে ICMR। তথ্য বলছে, গত এক বছরে ৬ভ হাজারেরও বেশি হামলা হয়েছে তাদের সার্ভারে। হ্যাকারদের সেই চেষ্টা যে সফল, তা ডার্কওয়েবে এই নিলামের পোস্টে স্পষ্ট। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মোদি সরকারের তরফে এব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, ICMR অভিযোগ জানালে এই সাইবার হানার তদন্তভার নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রক ও সংস্থার শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের এব্যাপারে অবগত করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফে এদিন ট্যুইট করে প্রশ্ন তোলা হয় কীভাবে নরেন্দ্র মোদির সরকার দেশবাসীকে তাঁদের তথ্য সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়ার পরেও তা ফাঁস হয়ে যায়? কীভাবেই তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নজর এড়িয়ে হয়? যদিও এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে মুখে কুলুপ আঁটা হয়েছে।