স্বাদ বদল আনতে বড়া নয়, ঝট করে বানিয়ে নিন কুমড়ো ফুলের পুর
নিজস্ব প্রতিনিধি : এই গরমে কিছুই ভাল লাগছে না। তবে স্বাদবদল আনতে পারেন। কুমড়ো ফুলের বড়া তো খেয়েছেন! কিন্তু কুমড়ো ফুলের পুর খেয়েছেন কী ? সেই আদ্যিকাল থেকে চলে আসছে বহু পুরোনো এই রেসিপিটি। একসময় মা ঠাকুমা'রা জমিয়ে রান্না করতেন এটি। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন ! রইল পদ্ধতি।
উপকরণ : কুমড়ো ফুল ১০টি, ১৫০ গ্রাম চিংড়ি, ১৫০ গ্রাম নারকেল কোরা, পোস্ত, কাঁচা লঙ্কা, সর্ষের তেল ও লবন স্বাদ মত ব্যাটারের জন্য: বেসন, চালের গুঁড়ো, কালো জিরে, চামচ হলুদ গুঁড়ো, সাদা পরিমাণ মতো তেল ও প্রয়োজন মতো টুথ পিক
প্রণালী : প্রথমে উষ্ণ গরম জলে পোস্ত ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তার পর জল ঝরিয়ে নিন। এ বার চিংড়ি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। চিংড়ির মাথা ও লেজ ছাড়িয়ে নিলেই ভাল। সামান্য জল ও ২-৩টি কাঁচালঙ্কা দিয়ে পোস্ত খুব ভাল করে পেস্ট করে নিন। মিশ্রণ যেন গাঢ় হয়।
আলাদা করে নারকেল কোরা বেটে রাখুন। একটি পাত্রে পোস্ত-কাঁচালঙ্কা বাটা, নারকেল কোরা বাটা, চিংড়ি, লবন, হলুদ ও সর্ষের তেল দিয়ে ঘন করে পুর বানিয়ে রাখুন।
এবার ভাজার জন্য আলাদা করে ব্যাটার তৈরি করে রাখুন। একটি পাত্র নিন। পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়ো, কালো জিরে, লবন ও হলুদ দিয়ে সামান্য জল ছিটিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন।
এবার কুমড়ো ফুলগুলি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রতিটা ফুলের ভিতরে দেড় চামচ মতো পোস্ত-নারকেল-চিংড়ির পুর ভরে দিন। একদম ঠেসে পুরলে চলেব না। পুর ভরার পরে ফুলের পাপড়িগুলি মুড়িয়ে টুথপিক দিয়ে ফুলের মুখ বন্ধ করে দিন। এইসময় সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। মনে রাখবেন, ফুল ফেটে ভিতর থেকে যেন পুর বেরিয়ে না যায়। ভাল করে টুথপিক দিয়ে ফলের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে।
ফুলগুলিতে পুর দেওয়া হয়ে গেলে ব্যাটারে ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে মুচমুচে করে ভেজে তুলুন। মনে রাখবেন এইসময় আঁচ কম রাখা প্রয়োজন। কম আঁচে বেশ মুচমুচে হবে ফুলগুলি। এবার গরম গরম ভাতে পরিবেশন করুন কুমড়ো ফুলের পুর।