রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগের দায়ে গ্রেফতার যুবক
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক চলাকালীন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে পুকুর বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ করায় গ্রেফতার এক যুবক। ধৃতের নাম এরশাদ সুলতান(Ersad Sultan) ওরফে শাহীন। ধৃতকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।গত ২৪ শে জুন নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Bandopadhay) বিভিন্ন পুরসভার প্রশাসনিক কর্তা, রাজ্যের মন্ত্রী এবং পদস্থ আমলাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রসারণ হয়।ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। শিবপুর মোল্লা পাড়ার বাসিন্দা তৃনমূল কর্মী বছর ৩৪ এর যুবক এরশাদ সুলতান মুখ্যমন্ত্রীর সভার সম্প্রচার চলাকালীন ফেসবুকে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী এবং জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন।
তিনি লেখেন অরূপ রায়(Arup Roy) হাওড়া পুরসভার ২৭ এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর বুজিয়ে ফেলেছেন। এই মন্তব্য দেখে শিবপুর থানায় ওই দিনই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মধ্য হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুশোভন চট্টোপাধ্যায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গত ৩০ শে জুন এরশাদকে শিবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং কুরুচিকর মন্তব্য করার আইনে মামলা শুরু করে পুলিশ। ধৃতকে সোমবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।এদিকে এরশাদের পরিবারের লোক জানিয়েছেন তারা এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের(High Court) দারস্থ হয়েছেন।
এরশাদের বাবা সুলতান মামুদ আলম জানান, এভাবে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি।তার ছেলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সবসময়।সে জামাকাপড় তৈরীর কাজ করে।কোনো ঝামেলায় থাকে না।কাজের পাশাপাশি সে সক্রিয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস করে। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন মধ্য হাওড়ার তৃণমূল নেতা সুশোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ ছাড়াই কুৎসা করা অপরাধ।এতে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে মন্ত্রীকে।এদিকে মন্ত্রী অরূপ রায় গোটা বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। এদিন তিনি সরাসরি বলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলবেন না।এনিয়ে বিজেপি নেতা ওম প্রকাশ সিং বলেন, এরাজ্যে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হয়।এবার তৃনমূল কর্মীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে।এরাজ্যে মানুষের বাক স্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।