টানা ১০ দিন হাওড়া থেকে শতাধিক এক্সপ্রেস-লোকাল ট্রেন বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলে
নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বড়সড় রেল বিভ্রাটের মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা ও শহরতলি এলাকা। আগামী ২২ জুন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের(South Eastern Railway) আন্দুল স্টেশনে(Andul Station) শুরু হতে চলেছে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ(Non Interlocking Work)। সেই কাজ হবে ১০ দিন ধরে। আর তাই ২২ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত হাওড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শতাধিক লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল(Hundreds of Local and Express Trains Canceled) করার কথা জানানো হয়েছে। বাতিলের তালিকায় থাকছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ১৬৬টি লোকাল ট্রেন এবং হাওড়া, শালিমার ও সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়া ৩২ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন। সব মিলিয়ে আপ ও ডাউন ধরে ২৩০টি ট্রেন দৈনিক বাতিল থাকবে আগামী ১০ দিন ধরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে। স্বাভাবিক ভাবেই এই সিদ্ধান্তের জেরে বড়সড় যাত্রীবিভ্রাটের মুখোমুখি পড়েত চলেছে রেল পরিষেবা।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রায় সব লোকাল ট্রেন ছাড়ে হাওড়া স্টেশন(Howrah Station) থেকে। মেদিনীপুর, খড়গপুর, পাঁশকুড়া, মেচেদা ও আমতা রুটেই বেশির ভাগ সেই সব লোকাল ট্রেন চলে। এর বাইরে বেলদা, বালেশ্বর, দিঘা, হলদিয়া, বালিচক যাওয়ারও কিছু লোকাল ট্রেন চলে। হাওড়ার পাশপাশি লোকাল ট্রেন চলে শালিমার ও সাঁতরাগাছি থেকেও। তবে তা হাতেগোণা মাত্র। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বেশিরভাগ এক্সপ্রেস ট্রেনই ছাড়ে এখন শালিমার ও সাঁতরাগাছি থেকে। কিছু ট্রেন অবশ্য এখনও হাওড়া থেকে ছাড়ে। কিন্তু এই সব ট্রেনকেই আন্দুল হয়ে বা সাঁতরাগাছি-আন্দুল ভায়াডাক্ট হয়ে চলাচল করতে হয়। সেই আন্দুলেই ১০ দিন ধরে চলবে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ। আর সেই কাজের দরুণ ট্রেন চলাচল করা সম্ভব নয়। তাই ১০ দিন ধরে ২৩০টি ট্রেন বাতিল করে সেই কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু ১০ দিন ধরে এই ট্রেন বন্ধের জন্য যাত্রীদের বড়সড় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে। বিশেষ করে হাওড়া জেলার বড় অংশের মানুষ এবং দুই মেদিনীপুরের মানুষজন কলকাতায় আসার ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন। সমস্যার মুখে পড়বেন ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার মানুষেরা। সমস্যার মুখ পড়বেন বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা সহ মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতমুখী জনতা বা ওইসব এলাকা থেকে বাংলার উদ্দেশ্যে আসতে চাওয়া জনতা। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকদের দাবি, ১০ দিন দুর্ভোগের মুখ পড়তে হবে যাত্রীদের। কিন্তু তারপর যাত্রা হবে মসৃণ। তাই এই দুর্ভোগ কিছুটা হলেও মেনে নিতে হবে।