For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

দুই নাবালক সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী

ঋণের টাকা না মেটানোর জেরে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ। শেষে দুই নাবালক সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন করে ঝুলিয়ে দিল যুবক। চাঞ্চল্য ভগবানগোলায়।
02:09 PM Jun 26, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
দুই নাবালক সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঋণের কিস্তির(EMI of Loan) টাকা দেওয়া নিয়ে অশান্তিতে স্ত্রীকে খুনের(Husband Murdered Wife) অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলার(Murshidabad District) লালবাগ মহকুমার ভগবানগোলা থানার(Bhagobangola) কান্দিপাড়া এলাকা। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ওই এই খুনের ঘটনা সম্পর্কে দুই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মৃতার বাপের বাড়ির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই যুবক নিজের স্ত্রীকে বাধ্য করতো ঋণ নিতে। কিন্তু সেই ঋণ শোধ করতে চাইতো না। তা থেকেই বাঁধতো অশান্তি। তাঁরা বিশ্বাস করেন না তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে, তাঁদের দাবি, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ভগবানগোলা থানার কান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আওয়াল শেখের সঙ্গে বছর ৮ আগে বিয়ে হয় সীমা বিবির। পেশায় দিনমজুর আওয়াল এবং সীমার এক পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান রয়েছে। সীমার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, আওয়াল বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন ঋণ নিয়ে। চাহিদা মেটাতে একাধিক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে সীমাকে দিয়ে ঋণ নিয়েছিল আওয়াল। কিন্তু প্রতি মাসে ঋণের সুদ দেওয়ার সময় হলেই সীমার সঙ্গে ঝগড়া হত তাঁর। আওয়াল ঋণের টাকা মেটাতে চাইতো না, পরিবর্তে সীমাকে চাপ দিতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে ঋণ মেটানোর। সেই নিয়েই দুইজনের অশান্তি বাঁধতো। মঙ্গলবার বিকালে সীমার দাদা জানতে পারেন বোন আত্মঘাতী হয়েছে।

Advertisement

সীমার দাদা সুরজ শেখ জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার বিকালে বোনের আত্মহত্যার খবর পেয়েছিলেন। শুনেছিলেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সীমা। কিন্তু পরে ভাগ্না আর ভাগ্নীর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, দুই সন্তানের সামনে স্ত্রীকে মারধরের পর তাঁর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে আওয়াল। কিছুদিন আগে সীমা বাপের বাড়ি এসেছিল। তখনই সে জানিয়েছিল ঋণের টাকা চাইতে গেলেও আওয়াল তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। নিজের গয়না গচ্ছিত রেখে তাই ঋণের টাকা মেটান সীমা। কিন্তু সেই গয়নাও ঋণ মেটাতে মেটাতে শেষ হয়ে গিয়েছে। ভগবানগোলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তাঁরা সীমার ছেলে আর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

Advertisement
Tags :
Advertisement