আমি বিজেপিকে হারাতে আসিনি, মানুষের পাশে থাকতে এসেছি: রচনা
নিজস্ব প্রতিনিধি: শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দিল্লি দখলের লড়াই। দেশের গণতন্ত্র উৎসবের পয়লা দিনে বাংলার ৩ জায়গায় হয়েছে ভোটযুদ্ধ। আগামী ভোটের দিন হল ২৬ এপ্রিল। রাজ্যে রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, এবং বালুরঘাটে ভোটযুদ্ধ। তবে এখনও ভোটের প্রচার শেষ হয়নি বাংলার প্রার্থীদের। যার মধ্যে একজন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী তথা বাংলার দিদি নং ১ রচনা বন্দোপাধ্যায়। ভোটযুদ্ধে নবাগতা হলেও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এক সময়ের সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বিদায়ী সাংসদ লকেটকেই দ্বিতীয়বার হুগলি লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রচারের শুরু থেকেই একের পর এক চমক দিচ্ছেন রচনা। হুগলিতে প্রচারে নেমে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিনেত্রী। নতুন নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করেছেন। তা নিয়ে আলোচনা করতেই তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষের বন্যা। কিন্তু কাউকেই কোনও পাত্তা দেননি অভিনেত্রী। নিজের মতো করে প্রচার চালিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী প্রার্থী লকেটকে বিঁধেও একাধিক কথা বলেছেন। কিন্তু প্রচার শেষে রচনার একটাই বক্তব্য, ভোটযুদ্ধে নামলেও কাউকে হারাতে আসেননি তিনি। তিনি এসেছেন, মানুষের মন জয় করতে। রবিবার হুগলির পান্ডুয়ায় প্রচারে গিয়ে এমনটাই জানালেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’।
এদিন পান্ডুয়ার বিভিন্ন গ্রামে শোভাযাত্রা করেন তৃণমূলের রচনা। পাশাপাশি ধামসা মাদলের তালে আদিবাসী মহিলাদের নাচেন রচনা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও প্রচারে কোনও কমতি রাখেননি অভিনেত্রী। তাঁকে দেখতে চাঁদিফাটা রোদেও ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন গ্রামের মহিলারা। ভোটারদের ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান রচনা। প্রচার করতে করতে এদিন রচনা বলেন, গরমের সময় গরম হবে। শীতকালে ঠান্ডা হবে। সবটাই মেনে নিতে হবে। তবে এই গরমে আমার জন্যে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকাটা সত্যিই গর্বের সমান। এদিন গলা ভাঙা নিয়েও প্রচারে কোনও ফাঁক রাখেননি রচনা। হুগলি গত বার বিজেপি জিতেছে। তাই এই আশঙ্কা থেকে রচনা বলেন, তিন বিজেপিকে হারাতে আসিনি। মানুষের পাশে থাকতে চান। এদিকে হুগলির নানা জায়গায় বিরোধীরা রচনার পোস্টার, ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিচ্ছে, এই নিয়েও চারিদিকে অনেক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।