ভোটে জিতলে হুগলিবাসীদের জন্যে রয়েছে দারুণ পুরস্কার, কী প্রতিজ্ঞা রচনার?
নিজস্ব প্রতিনিধি: রচনা বন্দোপাধ্যায়, বর্তমানে তিনি বাংলার দিদি নং 1। কিন্তু গত ১০ মার্চ থেকে তিনি আরেকটি পরিচয় পেয়েছেন, তৃণমূলের নেত্রী হিসেবে। এই মূহুর্তে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে দেশের রাজনৈতিক মহলের অন্যতম ভরসার জায়গা তারকাপ্রার্থী। আর এই পরিকল্পনাটা রাজ্যের সিংহাসনে বসেই সেরে ফেলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর আমল থেকে প্রতিটা লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের সময়ে কোনও না কোনও তারকাপ্রার্থী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যাই হোক, এবার তৃণমূলের নয়া প্রার্থী অভিনেত্রী তথা সঞ্চালিকা রচনা বন্দোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র দাঁড়িয়েছেন রচনা। আর প্রথমেই তাঁর কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপি নেতৃত্ব লকেট চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই একেবারে জোর কদমে শুরু করেছেন প্রচারপর্ব।
কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা দিতে নারাজ। যাই হোক, গত সপ্তাহে কালি মন্দিরে পুজো দিয়েই প্রচার শুরু করেছেন রচনা। রাজনীতির ময়দানে তিনি নবাগতা হলেও কথাবার্তায়, হাবভাবে, কোনও অংশেই তাঁকে রাজনীতিতে নতুন বলে মনেই হচ্ছেনা। সেটা ভোট প্রচারের মাঠে পরতে পরতে বোঝাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। শুরুতেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রচারের ময়দানে কোনও ফাঁক রাখতে চান না তিনি। আর তিনি প্রচারপর্বে নারীশক্তির বার্তাও তুলে ধরছেন। শুক্রবার প্রচারে গিয়ে হুগলীর মা-বোনেদের নারীশক্তির বার্তা দিলেন রচনা। সঙ্গে জানালেন ভোটে জিতলে হুগলিবাসীর জন্য বিরাট পুরস্কারও অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে লকেটও কম যাচ্ছেন না। রচনা যদি খাবার পরিবেশন করেন, তাহলে রান্না করছেন রীতিমতো। কিছুদিন আগেই এ দৃশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
শুক্রবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সপ্তগ্রাম বিধানসভায় সেনেট বিশালাক্ষীতলা মন্দিরে পুজা দিয়ে প্রচার শুরু করেন রচনা। আর অভিনেত্রীকে দেখার জন্য স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়দের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। মায়ের কাছে পুজো দিয়ে একটি সভায় তারকা প্রার্থী বক্তৃতায় বললেন, হুগলিতে এসে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তিনি আপ্লুত। আগামী দিনে হুগলির মানুষদের জন্য কাজ করতে চান। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বাড়ছে দায়িত্বও। সঙ্গে আরেকটি প্রতিশ্রুতিও দিলেন তিনি। দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে যেমন প্রতিযোগীদের পুরস্কারে ভরিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে ভোটে জিতলে হুগলির মানুষদের সুখ-দুঃখ, যাবতীয় অভাব, অভিযোগের কথা তিনি শুনবেন। ভোটে জেতালেই অভিনেত্রীর সেই রূপ দেখতে পারবেন হুগলিবাসীরা, সেটাই স্পষ্ট করলেন অভিনেত্রী। এদিন অভিনেত্রীর সঙ্গে তৃণমূলের আরও নেতা নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।