পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ায় কোটায় আত্মঘাতী IIT পরীক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফের কোটায় ঘটল পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে হোস্টেলের রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক আইআইটি পরীক্ষার্থীর দেহ। জানা গিয়েছে, সেই পড়ুয়ার নাম শুভ চৌধুরী। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। জেইই-মেইনসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কোটায়।
গত দু'বছর ধরে কোটায় আছেন শুভ। গত ১০ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার ছিল জেইই মেইনের ফলপ্রকাশ। শুভ স্কোর তার প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। এরপরেই সে হোস্টেলের ঘরে ফিরে যায়। আজ সকালে সিলিং থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই যুবকের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা কোটায় পৌঁছানোর পরেই ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ । তবে এখনও পর্যন্ত কোন সুইসাইট নোট পাওয়া যায়নি।
চলতি বছর এই নিয়ে কোটায় চারটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত ২ রা ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের কোটায় পেয়িং গেস্ট রুমে আত্মঘাতী হয়েছিল বিটেকের ফাইনাল ইয়ার এক পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই পড়ুয়ার নাম নূর মহম্মদ। এছাড়াও গত ২৯ জানুয়ারি ১৮ বছরের নীহারিকা সিং জেইই-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ তবে পরীক্ষার দু দিন আগে আত্মহত্যা করেন নীহারিকা। পুলিশ জানিয়েছে সুইসাইট নোট নীহারিকা লিখেছেন,’আম্মু আর বাবা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স করতে পারবো না। তাই আমি আত্মহত্যা করছি। আমি একজন লুজার। এটি আমার শেষ রাস্তা।‘
অন্যদিকে গত ২৪ শে জানুয়ারি কোটার জওহর নগর এলাকার একটি হস্টেল থেকে মহম্মদ জায়েদ নামে এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । আত্মঘাতী পড়ুয়া উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা। আর এবার ফের কোটায় ঘটল আত্মহত্যার ঘটনা।
উল্লেখ্য, তৎকালীন অশোক গেহলট সরকার ২০২৩ সালে কোচিং সেন্টারগুলিকে এই জাতীয় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে সহায়তা করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল। কোচিং সেন্টারগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা এবং শিক্ষার্থীদের বিনোদন নিশ্চিত করার নির্দেশনা। আর এই নির্দেশিকার মাঝেই ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল কোটায় । জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে কোটায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে মোট ২৬ জন পড়ুয়া। তবে বারবার কেন এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।