প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় রুপালি শস্যের দর্শনে বিফল সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি,সুন্দরবন: প্রকৃতির খামখেয়ালিপনাতে মৎস্য ব্যবসায়ীদের আয়ের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে।বৃষ্টির অভাবে ইলিশের(Ilasa) দেখা নেই। একরাশ হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা । ব্যান পিরিয়ডের পর প্রায় দু'মাস পার হওয়ার পর সরকারের নির্দেশ মেনে ১৪ ই জুন সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় তিন হাজার ট্রলার ইলিশ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয় । কিন্তু আকাশে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সমুদ্রে ইলিশ মাছের যোগান মিলছে না ।
মৎস্যজীবী পরান দাস ও নবীন জানান গভীর সমুদ্রে জল উত্তাল থাকায় ট্রলার নিয়ে সেখানে মাছ ধরার জন্য জাল সমুদ্রে ফেলা যাচ্ছে না।মৎস্যজীবী এবং ট্রলার মালিক ও সুন্দরবন ফিশারম্যান ইউনিয়নের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান প্রথম ট্রিপে সমস্ত মৎস্যজীবীদের বড় লোকশান হয়েছে। সমুদ্রে ইলিশ মাছ নেই আকাশে বৃষ্টি নেই অতিরিক্ত গরম ।ফলে অন্য সব ধরনের মাছ মিললেও ইলিশ মাছের দেখা নাই।
একদিকে মৎস্যজীবীরা একরাশ হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ,অন্যদিকে মাছ ধরতে যাওয়ার খরচের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা(Fisherman) । কবে দেখা মিলবে সমুদ্রের রুপালি শস্যের সেই আশায় দিন গুনছেন সকলে । বিগত বছরের দেনার পাশাপাশি চলতি বছরে বর্ষার বিলম্ব মৎস্যজীবীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গে(NorthBengal) একটানা বৃষ্টিতে তিস্তায় লাল সতর্কতা। চলতি মরশুমে এই প্রথম তিস্তায় লাল সতর্কতা। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেচ দপ্তরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সুত্রে এই খবর জানা গেছে। জলপাইগুড়ি গজোলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টায় জল ছাড়ার পরিমান ১৪৯৭.৬৩ কিউমেক। তিস্তা সহ অন্যান্য নদীর জল বাড়ছে। এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীতে হলুদ সতর্কতা। তবে আজ সকাল থেকে জলপাইগুড়ি আকাশ ঝলমলে। বেশ কয়েকদিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে।